শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কোটালীপাড়ায় প্রভাবশালীর কাছে জিম্মি অসহায় পরিবার

কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৬:৪৮ পিএম

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় এক প্রভাবশালীর কাছে জিম্মি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন একটি অসহায় পরিবার। পরিবারটি ওই প্রভাবশালীর প্রতারণার ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হয়ে আজ সমাজের বিত্তবানদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বান্ধাবাড়ি বিলের বাড়ি। এ ঘটনায় ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সালিশ বৈঠক হলে ও তা না মেনে ওই প্রভাবশালী উল্টো সালিশদের বিরুদ্ধে কোটালীপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করার খবরও এলাকায় প্রচার করেছেন।

সরেজমিনে গেলে সোহেল খন্দার, স্ত্রী হ্যপি বেগমসহ একাধীক এলাকাবাসী জানান উপজেলার বান্ধাবাড়ি বিলের বাড়ি আজাহার সিকদারের ছেলে জামাল সিকদারের কাছ থেকে ২০১৩ সালে দুই কিস্তিতে একলক্ষ ৭৫ হাজার টাকা গ্রহণ করেন একই গ্রামের কাসেম আলী খন্দকারের ছেলে সোহেল খন্দকার। এর পরে নির্ধারিত সময়ে একলক্ষ ৭৫ হাজার টাকা পরিশোধ করতে না পারায় সোহেল খন্দকারের সহায় সম্বল বলতে ১০ কাঠা বসতবাড়ি দলীল করে নেন জামাল। এসময় কথা থাকে যে সোহেল খন্দকার তিনবছরের মধ্যে তার বাড়ির পরিবর্তে ১০ কাঠা জমি কিনে দিলে জামাল সিকদার তার ১০ কাঠা বাড়ি ফিরিয়ে দিবেন, জামালের কথামত সোহেল তার জন্য ১০ কাঠা জমি ও ক্রয় করেন কিন্তু জামাল ওই জমি নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে জমির দাম ৩ লক্ষ টাকা দাবি করে। তিনলক্ষ টাকা দিলে সে বাড়ি ফেরত দিবেন। তার দাবি অনুযায়ী সোহেল খন্দকার তিনলক্ষ টাকা ও পরিশোধ করেন কিন্তু জামাল সিকদার এখন টাকা নিয়ে দলীল না দেওয়ার মানসে নানা ধরণের তালবাহানা করে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন ভুক্তভোগী অসহায় পরিবারটি। এদিকে বাড়ি লিখে নেওয়ার পরেও তাকে প্রতিবছরে ১২ মন করে ৯ বছরে ১০৮ মন ধান পরিশোধ করতে গিয়ে জামাল আজ নিঃস্ব হয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

এ নিয়ে উভয় পক্ষের সম্মতিক্রমে ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মানিকসহ এলাকার শতাধিক গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এক সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সালিশ বৈঠকে জামাল খন্দকারকে ১০ কাঠা বাড়ি দলীলের মাধ্যমে ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এর পরেও জামাল সিকদার সালিশদের সিদ্ধান্ত অমান্য করে দলীল না দিয়ে সালিশসহ ভুক্তভোগী পরিবারটির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা৷ হয়েছে বলে এলাকায় এসে বলেন। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা বলেছেন যদি দ্রুত সালিশদের বিরুদ্ধে থানায় কোন অভিযোগ হয় এবং সেটা প্রত্যাহার করে দলীল করে সোহেলের বাড়ি জমি ফেরত না দেয় তাহলে এলাকাবাসী জামাল সিকদারের বিরুদ্ধে যে কোন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে। বলে বিক্ষুব্ধ জনতা এ হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন। তারা আরো বলেন জামাল সিকদার ঢাকায় হাইকোর্টে মহড়ার কাজ করেন সেই সুবাদে তিনি এলাকায় সোহেলকে তোয়াক্কা করছেনা।

এ ব্যপারে জামাল সিকদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি উল্টো অভিযোগ করে বলেন সোহেলের কাছ থেকে আমি নগদ টাকা দিয়ে বাড়ি সাব কবলায় দলিল করেছে,সেই জমি চাষাবাদ করে আমাকে ধান দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু এখন সে লোকজন নিয়ে আমার কাছ থেকে জোর করে দলিল নিতে চায় এবং বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে আসছে সে কারণে নিরাপত্তার স্বার্থে আমি থানায় অভিযোগ করেছি।

কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শেখ লুৎফর রহমান বলেন এ সংক্রান্ত কোন অভিযোগ পাইনি

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন