বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে ব্যবসায়ীর কোটি টাকা আত্মসাৎ, সিআইডির জালে নারীসহ তিনজন

নোয়াখালী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৭:২৮ পিএম

সোনাইমুড়ী উপজেলার এক ব্যবসায়ীর দায়ের করা প্রতারণার মামলায় নারীসহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। এসময় তাদের কাছ থেকে প্রতরণার কাজে ব্যবহৃত একটি টেলিফোন সেট, ৬টি মোবাইল, মসজিদ ও বিল্ডিং তৈরির নকশা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন থেকে প্রতারণার মাধ্যমে মাধ্যমে ১ কোটি ১৩লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।

শনিবার বিকালে গ্রেপ্তারকৃতদের জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার থানার বালিয়াপাড়া এলাকার রেজ্জাক মাস্টারের ছেলে সুরুজ্জামান মিয়া (৫১), যশোরের বাঘারপাড়া থানার জামালপুর এলাকার আজগর আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান দিপু (২৫) ও নরসিংদী সদর উপজেলার খাকসিয়া পাঁচদোনা এলাকার সুন্দর আলীর মেয়ে রিনা বেগম (৪০)। তবে তারা বিভিন্ন সময় তাদের একাধিক ছন্দ নাম ব্যবহার করতো।

সিআইডি জানায়, গ্রেপ্তারকৃত হাবিবুর রহমান দিপুর কোরিয়ান কোম্পানীতে কাজ করে পরিচয় দিয়ে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী ফার্ণিচার ব্যবসায়ী মো. ফারুকের কাছ থেকে গত বছরের জুন মাসে দশ লাখ টাকার ফার্ণিচার ক্রয় করবেন বলে কোটেশন চায়। এর কয়েকদিন পর তার সাথে দেখা করার জন্য চট্টগ্রাম রোডে সাইনবোর্ড সংলগ্ন সাদ্দাম মার্কেটের পাশে তাদের অফিসে ডেকে নেই ব্যবসায়ী ফারুককে। অফিসে গেলে গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে একজন কোম্পানীর এমডি জামিল, একজন এমডির বোন জামিলা, একজন ম্যানেজার আল আমিন, একজন কান্ট্রি ম্যানেজার জহির, একজন জমির ক্রেতা ফয়সাল ও অপর জন জমি বিক্রেতা আব্দুল হামিদ পরিচয় দিয়ে কোম্পানীর নামে একটি জমি কিনবে বলে ফারুককে জানায়। পরে তারা বায়না পত্র করে ও জমি কিনতে দুই কোটি পনের লাখ টাকা লাগবে বলে ফারুকের কাছে টাকা চাই। তাদের কথায় ফারুক নগদ ১০লাখ ও বিভিন্ন সময় আরও ৫লাখ ৩০হাজার টাকা প্রদান করে। পরবর্তীতে বিষয়টি প্রতারণা বুঝতে পেরে ওই ব্যক্তিদের আসামী করে সোনাইমুড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করে ফারুক। মামলার ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে ঢাকার মাতুয়াইল মহিলা মাদ্রাসা একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি।

সিআইডি নোয়াখালীর বিশেষ পুলিশ সুপার মো. বশির আহমেদ জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা মোবাইল নম্বর ও বাসা পরিবর্তন করে বিভিন্ন ব্যক্তি থেকে প্রতারণার মাধ্যমে মোট ১ কোটি ১৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মসাৎ করেছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।

প্রতারক চক্রের অপর সদস্যদের সনাক্তকরন ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গ্রেপ্তারকৃতদের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন