চলচ্চিত্রের মুভিলর্ড খ্যাত মনোয়ার হোসেন ডিপজল একসঙ্গে অর্ধ ডজনেরও বেশি সিনেমা নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তার ঘোষণা মতো ইতোমধ্যে এসব সিনেমার নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। সম্প্রতি তার গল্পে মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ‘অমানুষ হলো মানুষ’ সিনেমার শুটিং এবং ডাবিং শেষ হয়েছে। সিনেমাটি এখন সেন্সর বোর্ডে জমা দেয়া হবে। এ সিনেমার কাজ শেষ করেই নতুন সিনেমার কাজ শুরু করতে যাচ্ছেন ডিপজল। আগামীকাল থেকে তার নতুন সিনেমা ‘বাংলার হারকিউলিস’-এর শুটিং শুরু হচ্ছে। বলা যায়, বাংলার হারকিউলিস হিসেবে আসছেন তিনি। এ সিনেমাটিও পরিচালনা করছেন মনতাজুর রহমান আকবর। এর গল্পও ডিপজলের। তিনি জানান, এর গল্পটি পুলিশি-থ্রিলার ধাঁচের। গল্পে বিভিন্ন ধরনের ট্যুইস্ট থাকবে। এতে নায়িকা হিসেবে থাকবেন মৌ খান। এছাড়া তরুণ নায়ক হিসেবে থাকবে নাদিম। নায়িকা হিসেবে ডিপজলের সিনেমায় এটি মৌ খানের দ্বিতীয় সিনেমা। ডিপজল জানান, নতুন সিনেমাটির শুটিং অমানুষ হলো মানুষÑএর মতোই একটানা শেষ করা হবে। তিনি বলেন, আমি আমার ঘোষণা মতোই একের পর এক সিনেমার কাজ শুরু করেছি। প্রথমে সাতটি সিনেমার ঘোষণা দিলেও এখন এ সংখ্যাটি আরও বাড়বে। এসব সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে সিনেমার যে সংকট চলছে, নতুন সিনেমার অভাবে হল বন্ধ হয়ে আছে, এ সংকট কিছুটা হলেও দূর হবে। তিনি বলেন, আমি সিনেমা বানাই দর্শকের চাহিদা ও মনমতো। তারা কি ধরনের সিনেমা পছন্দ করে দীর্ঘ চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে তার অভিজ্ঞতা হয়েছে। কাজেই আমার যেসব সিনেমা নির্মিত হচ্ছে, সেগুলো দর্শকের ভাল লাগবে। তিনি বলেন, বর্তমান প্রযুক্তির যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে সিনেমা নির্মাণ করছি। এতে যেমন সামাজিক ও পারিবারিক সংকট এবং ঐতিহ্য তুলে ধরা হচ্ছে, তেমনি সমাধানেরও ম্যাসেজ থাকছে। ডিপজল বলেন, একটা সময় অশ্লীল সিনেমার কারণে যখন চলচ্চিত্র অত্যন্ত খারাপ অবস্থায় চলে গিয়েছিল, তখন ২০০৬ সালে আমি একের পর এক সামাজিক ও পারিবারিক গল্পের সিনেমা নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কোটি টাকার কাবিন, চাচ্চু, মায়ের হাতে বেহেস্তের চাবিসহ পরপর সাত-আটটি সিনেমা নির্মাণ করেছিলাম। এসব সিনেমা দর্শক বিপুলভাবে গ্রহণ করে অশ্লীল সিনেমা যুগের অবসান ঘটিয়েছিল। অন্য নির্মাতারাও উৎসাহিত হয়ে সে ধারায় সিনেমা নির্মাণ শুরু করেন। সিনেমা একটি নতুন ধরা পায়। তারপর আবারও সিনেমার বাজার খারাপ হতে থাকে। এখন তো সিনেমা নাই বললেই চলে। এ অবস্থায় আবারও আমি একের পর এক সিনেমা নির্মাণ শুরু করেছি। আশা করছি, সিনেমাগুলো পরপর মুক্তি পাওয়া শুরু করলে সিনেমার বাজার আবার চাঙ্গা হয়ে উঠবে। তিনি বলেন, আমি ব্যবসার জন্য সিনেমা বানাই না। ভালবেসে এবং দর্শকের চাহিদা পূরণ করার জন্য সিনেমা বানাই। সিনেমা আমার রক্তের সাথে মিশে আছে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সিনেমা বানিয়ে যাব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন