মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার জয়নগর গ্রামে শিশু তানভীর হত্যা মামলায় চাচী চায়না বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়। গতকাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মীর রুহুল আমীন এ রায় ঘোষণা করেন। জানা যায়, ২০১৬ সালের ৩০ মে সকালে তিন বছরের ছেলে তানভীরকে শাশুড়ি সখিনা বেগমের কাছে রেখে চিকিৎসার জন্য মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে যান কমলা বেগম। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শিশু তারভীরকে তার চাচী চায়না বেগম কৌশলে বাড়ির পাশের কালীগঙ্গা নদীতে চুবিয়ে হত্যা করে লাশ ভাসিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। ওই সময় নদীতে মাছ ধরার জেলেরা তাকে দেখে ফেলায় লাশ রেখে পালিয়ে যায় চায়না বেগম।
পরে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ওই শিশুকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাড়ি ফিরে শিশুটির মা কমলা বেগম ছেলে তানভীরকে না পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে তার ছেলের লাশ শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় শিশুটির মা কমলা বেগম বাদী হয়ে চায়নাকে আসামি করে মানিকগঞ্জ সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে পুলিশ মানিকগঞ্জের সিংগাইর থেকে শিশু তানভীর হত্যার আসামি চায়না বেগমকে তার এক আত্মীয় বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। ২০১৭ সালের ২৮ অক্টোবর চায়না বেগমকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। আদালত ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের পর গতকাল আসামির উপস্থিতিতে বিচারক এই রায় ঘোষণা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন