শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ঘোষণা বহির্ভূত শেয়ার ধারণের সীমা বাড়ানোর সুপারিশ

ব্যাংক ও এনবিএফআইয়ের সাথে বিএসইসির বৈঠক

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০০ এএম

পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ধরে রাখা ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে বাণিজ্যিক ব্যাংক ও নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফআই) সাথে বৈঠক করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গতকাল বিএসইসির সম্মেলনকক্ষে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিএসইসির কমিশনার প্রফেসর শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ এতে সভাপতিত্ব করেন। সভার এক পর্যায়ে বিএসইসির চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামও কিছু সময়ের জন্য এতে অংশ নেন। সভায় ২২টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান অর্থ কর্মকর্তাসহ শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক এবং মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিমও এতে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, বৈঠকে একাধিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি সর্বশেষ নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের প্রদর্শিত মুনাফার আলোকে শেয়ারের মূল্য-আয় অনুপাত নির্ধারণ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্যের ভিত্তিতে পিই রেশিও হিসাব করা হলে বাজারে কারসাজির সুযোগ বেড়ে যায় বলে তারা মতামত দেন।
ব্যাংক-এনবিএফআই এর প্রতিনিধিরা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ারধারণ বিধিমালা সংশোধন করে ঘোষণা বহির্ভ‚ত শেয়ার ধারণের সীমা বাড়ানোর সুপারিশ করেন। এই আইন অনুসারে, কোনো কোম্পানির ১০ শতাংশ বা তার বেশি পরিমাণ শেয়ার ধারণ করতে হলে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োকারীকে তা ঘোষণা করতে হয়। বৈঠকে এই সীমা ২৫ শতাংশে উন্নীত করার সুপারিশ করা হয়।
কয়েকটি ব্যাংকের পক্ষ থেকে পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমা বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে আলোচনা করার অনুরোধ জানানো হয়। বর্তমানে বেশ কয়েকটি ব্যাংকের বিনিয়োগের পরিমাণ ওই সীমার কাছাকাছি থাকায় নতুন বিনিয়োগের সুযোগ সংকুচিত হয়ে গেছে বলে জানায় তারা। উল্লেখ, বিদ্যমান বিধিমালা অনুসারে, একটি ব্যাংক তার রেগুলেটরি মূলধনের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারে। বিএসইসির পক্ষ থেকে ব্যাংক ও এনবিএফআই এর প্রতিনিধিদেরকে আগামী বাজেটের জন্য ৩টি করে প্রস্তাবনা বিএসইসির কাছে জমা দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। বিএসইসি এসব প্রস্তাবনা অর্থমন্ত্রণালয়ের কাছে সুপারিশ করে পাঠাবে।
‘ওয়াসার ভার্কুতা ওয়েলফিল্ডে ৪০ বছর পর্যন্ত পানি থাকবে’
স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান বলেছেন, রাজধানীর মিরপুর এলাকার পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে কাজ করছে সাভার উপজেলার তেঁতুলঝড়া ভাকুর্তা এলাকায় ওয়েলফিল্ড। ঢাকা ওয়াসার এই প্রকল্পের মাধ্যমে মিরপুর এলাকার পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। এখান থেকে প্রতিদিন ১৫ কোটি লিটার পানি পাইপ লাইনের মাধ্যমে মিরপুর এলাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রকল্প এলাকায় ৪৬টি গভীর নলকূপের মাধ্যমে পানি উত্তোলন করে সেই পানির আইরণ পরিশোধন করে পানযোগ্য করে সরবরাহ করা হচ্ছে।
গতকাল সোমবার স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওয়াসার এমডি এ সব তথ্য জানান। ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, এই প্রকল্পটা একটা গবেষণালব্ধ প্রকল্প ছিল। অর্থাৎ এখানে গবেষণা হয়েছিল যে এখানে যে ‘অ্যাকুয়েফেয়ার’ আছে সেই অ্যাকুয়েফেয়ার থেকে পানি তুললেও সেই পানির স্তর নিচে যাবে না। গত দুই বছরের পর্যবেক্ষণে আমাদের গবেষণা প্রমাণিত হয়েছে যেটা বলা হয়েছিল তা হুবহু ঠিক রয়েছে। অর্থাৎ এখানকার পানির লেভেল নিচে নেমে যায়নি। শুধু তাই না আগামী ৪০ বছর পর্যন্ত এই পানি অক্ষুন্ন থাকবে।
তাকসিম এ খান বলেন, ঢাকা শহরের পানির স্তর নিচে নেমে যায় বলেই তো ঢাকা শহরে আর পানি উত্তোলন করতে চাইনা। এখানে (ভার্কুতা প্রকল্প এলাকায়) উত্তোলন করার এটাই কারণ ছিল যে আগামী ৪০ বছর পর্যন্ত থাকবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন