নগরীর লালখান বাজারে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। সোমবার রাতে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সন্ধ্যার দিকে মতিঝর্ণা এলাকায় নুরুল আলম নামে যুবলীগের এক কর্মীকে ইট দিয়ে আঘাত করা হয়। পরে রুবি নামে এক মহিলাকর্মীকেও মারধর করা হয়। দুইজনই ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল হাসনাত বেলালের অনুসারী।
এই ঘটনার পর বেলালের লোকজন অপর পক্ষের উপর পাল্টা হামলা চালায়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
এ হামলার জন্য জাহিদকে দায়ী করে বেলালের অনুসারীরা জানান জেল থেকে জামিনে এসে জাহেদ সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শুরু করেছে। মতিঝর্ণা এলাকায় তাদের কর্মী-সমর্থককে মারধর করে জখম করা হয়েছে।
আহতদের মধ্যে - রুবেল, আসমা, কহিনুর ও শাহীনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় একটি দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত হামিদুর রহমান বলেন, লালখান বাজার এলাকায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৪-৫ জনকে চমেক হাসপাতালে আনা হয়েছে।
জানা যায়, চসিক নির্বাচনের আগে মো. জাহেদকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। জাহেদ ওয়ার্ড আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুমের অনুসারী। কয়েকদিন আগে জামিনে এসে তিনি প্রতিপক্ষ গ্রুপের সঙ্গে সংঘাত-সংঘর্ষে জড়ান।
খুলশী থানার ওসি তদন্ত মো. আফতাব হোসেন বলেন, বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। ইটের আঘাতে তিন জন আহত হয়েছেন। এ বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ হয়নি বলে জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন