শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

লভ্যাংশ না দেয়া রবি দরপতনের শীর্ষে

অসন্তুষ্ট বিএসইসি, প্রতিকার জানাতে বলেছে রবিকে ষ সঠিক সময়ে লভ্যাংশ দেবে রবি : সিইও দরপতনের পরবর্তী অবস্থান ছিল গ্রামীণফোনের

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:৪২ এএম

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল টপটেন লুজার বা দরপতনের শীর্ষে ছিল দেশের দ্বিতীয় শীর্ষ টেলিযোগাযোগ কোম্পানি রবি আজিয়াটা লিমিটেড। গতবছর আটগুণ মুনাফা হলেও সোমবার রবির পরিচালনা পরিষদ বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ায় বাজারে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এদিন কোম্পানিটির দর ৪ টাকা ২০ পয়সা বা ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ কমেছে। এদিকে তালিকাভুক্তির প্রথম বছরেই বিনিয়োগকারীদের কোনো ধরনের লভ্যাংশ না দেয়ায় বহুজাতিক কোম্পানি রবি আজিয়াটার প্রতি অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। একই সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার প্রতিকার কি সে বিষয়ে দ্রুত বিএসইসিকে জানাতে বলা হয়েছে। সূত্র মতে, গতকাল ঢাকার বাজারে লেনদেন শুরুর পর বিনিয়োগকারীদের মধ্যে রবির শেয়ার ছেড়ে দেওয়ার হিড়িক পড়ে। দিন শেষে শেয়ার বিক্রির সংখ্যায় দ্বিতীয় বৃহত্তম কোম্পানি ছিল রবি। কোম্পনিটির ২০,৪৮১,২৮২টি শেয়ার হাতবদল হয়, যেখানে শীর্ষস্থানে থাকা বেক্সিমকোর ২৩,৯১০,৫৯৫টি শেয়ার হাতবদল হয়। দিনের লেনদেন শুরুর পর বিক্রির চাপে এক পর্যায়ে ১৫ শতাংশের বেশি দরপতন হয়। আগের দিনের ৪৬ টাকা থেকে রবির শেয়ারের দাম নেমে আসে ৩৯ টাকায়। লভ্যাংশের বিষয়ের ঘোষণার দিন থাকায় এদিন রবির শেয়ারে কোনো সার্কিট ব্রেকার ছিল না। দিন শেষে রবির শেয়ারের দর কিছুটা বেড়ে ৪১ টাকা পয়সায় লেনদেন হয়। অর্থাৎ দরপতনের হার কিছুটা কমে ৯ দশমিক ১৩ শতাংশে ঠেকে। গত বছরের শেষ দিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর এটাই রবির শেয়ার দরে সবচেয়ে বড় পতন। পুঁজিবাজার বিশ্লেষণী ওয়েবপোর্টাল আমারস্টকের হিসেবে, গতকাল ডিএসইতে দরপতনের পেছনে একক কোম্পানি হিসেবে রবির ভূমিকাই ছিল সবচেয়ে বেশি। নেতিবাচক বাজারের জন্য ১৪ দশমিক ৩৫ দায় ছিল রবির। এছাড়া রবির পরেই দরপতনে অবস্থান ছিল গ্রামীণফোনের। টেলিযোগাযোগ খাতের শীর্ষ কোম্পানিটির নেতিবাচক সূচকের জন্য ৩ শতাংশ দায়ী।

প্রসঙ্গত, পুঁজিবাজারে সদ্য তালিকাভুক্ত কোম্পানি রবি ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ সমাপ্ত হিসাব বছরে কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি। গত সোমবার কোম্পানির পরিষদ সভায় কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা না করায় গতকাল রবির শেয়ারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এছাড়া রবি আজিয়াটার বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ২১ মার্চ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হবে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট আগামী ৮ মার্চ নির্ধারণ করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিটির তথ্য অনুযায়ী, ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৩ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৯০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ৪ পয়সা এবং এনএভিপিএস ছিল ১২ টাকা ৬৪ পয়সা।

এদিকে গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসি কার্যালয়ে রবির শীর্ষ কর্মকর্তাদের জরুরি তলব করে অসন্তুষ্টি প্রকাশের পর এ বিষয়ে দ্রুত প্রতিকার জানাতে বলা হয়। তালিকাভুক্তির প্রথম বছরেই বিনিয়োগকারীদের কোনো ধরণের লভ্যাংশ না দেয়ায় কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিষদের শীর্ষ কর্মকর্তাদের (টপ ম্যানেজমেন্ট) জরুরি তলব করে বিএসইসি। তবে কোম্পানির সিইও দেশের বাহিরে থাকায় কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ শাহেদুল আলমের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বিএসইসিতে যায়। নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, বিএসইসির চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলামের নেতৃত্বে কমিশনের পক্ষে সভায় উপস্থিত ছিলেন কমিশনার শামসুদ্দিন আহমেদ এবং নির্বাহী পরিচালক সাইফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ রেজাউল করিম।

সূত্রটি জানিয়েছে, বৈঠকে রবি কর্তৃপক্ষকে কড়া ভাষায় অসন্তুষ্টির বিষয়টি জানান বিএসইসির শীর্ষ কর্মকর্তারা। একই সঙ্গে কোম্পানি সচিবকে দ্রুত সিইও এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত কিভাবে বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া যায় তার উপায়ও জানাতে বলা হয়।
সূত্র জানায়, এক্ষেত্রে অন্তবর্তী লভ্যাংশ একটি প্রতিকার হতে পারে বলে বিএসইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়। আর এ লভ্যাংশ ঘোষণার ক্ষেত্রে আইনগত কোন বাধা থাকলে বিএসইসির পক্ষ থেকে তা প্রতিকারে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, রবি নো ডিভিডেন্ড ঘোষণা করায় বৈঠকে কমিশন মারাত্মক অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। একই সঙ্গে এর রিমেডি (প্রতিকার) কী হতে পারে তা দ্রæত কমিশনকে জানাতে বলা হয়েছে।

বিএসইসির সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে রবির কোম্পানি সচিব ও চীফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স মোহাম্মদ শাহেদ আলম ইনকিলাবকে বলেন, বিএসইসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে কয়েকদিন থেকেই দেখা করার চেষ্টা ছিল। তিনি ব্যস্ত ছিলেন বলে সময় দেননি। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল একটি সভা ছিল। সভায় বিএসইসি কি বলেছে জানতে চাইলে মোহাম্মদ শাহেদ আলম বলেন, চেয়ারম্যান বলেছেন-প্রথম বছর আইপিওতে আসছেন। আমাদের এক্সপেকটেশন ছিল বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিবেন। কেন দিলেন না। এক্ষেত্রে লভ্যাংশ না দেয়ার বিষয়ে বোর্ডের পারসপেকটিভটা তুলে ধরেছি। তিনি বলেন, রবি বছরের শেষের দিকে (২৪ ডিসেম্বর) বাজারে এসেছি। ইতোমধ্যে অর্থ বছর শেষ। প্রবৃদ্ধি পর্যায়ে আছি। তাই প্রবৃদ্ধি ধরে রেখে মার্কেট শেয়ার এবং প্রফিট বাড়ানোর লক্ষ্যেই লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়নি। একই সঙ্গে লভ্যাংশের টাকাটা আমরা যদি রি-ইনভেস্টমেন্ট (পুনর্বিনিয়োগ) করি, তাহলে ব্যবসায় ভালো প্রবৃদ্ধি হবে এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য ভালো রিটার্ন পাওয়া নিশ্চিত করবে।

সূত্র মতে, নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও আইপিও খরচের কথা বলে এই মোবাইল অপারেটর কোম্পানিটি আইপিওতে শেয়ার ছেড়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে থেকে ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ ৩৩ হাজার ৩৪০ টাকা সংগ্রহ করেছে। বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার পর গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে শেয়ারবাজারে কোম্পানিটির লেনদেন হচ্ছে।

লেনদেনের প্রথম দিন থেকেই কোম্পানিটির শেয়ার দাম বাড়ার ক্ষেত্রে মহা দাপট দেখায়। লেনদেনের প্রথম কার্যদিবস থেকে টানা ১৫ কার্যদিবস দাম বেড়ে কোম্পানিটির ১০ টাকার শেয়ার ৭৭ টাকা ১০ পয়সায় উঠে যায়। এর মধ্যে লেনদেনের প্রথম ১৩ কার্যদিবসের প্রতিটি দিন দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে দেশের শেয়ারবাজারের ইতিহাস সৃষ্টি করে কোম্পানিটি।

এদিকে, শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ না দিলেও গতকাল বিকেল ৩টায় এক সংবাদ সম্মেলন ডাকে রবি। অবশ্য প্রথমে এ সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয় দুপুর ১২টায়। বিএসইসি জরুরি তলব করায় সংবাদ সম্মেলনটি ৩ ঘণ্টা পিছিয়ে দেয়া হয়। ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে রবি আজিয়াটা লিমিটেডের পরিচালনা পরিষদের সদস্যরা লভ্যাংশের বিপক্ষে না উল্লেখ করে কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, সঠিক সময়, সঠিক মুহুর্তে লভ্যাংশ দেয়া হবে। তবে সেটা কত তাড়াতাড়ি হবে, সেটা বলা মুশকিল।

মাহতাব উদ্দিন বলেন, অনেকগুলো বিষয় বোর্ডে আলোচনা হয়েছে। আমি এখন এখানে সবগুলো বলতে পারব না। একটা পয়েন্ট হলো- আমাদের যে ডিভিডেন্ড পলিসি আছে, তাতে ৫০ শতাংশ লভ্যাংশ দিলে এটা মাত্র ১ দশমিক ৬ অথবা ১ দশমিক ৭ শতাংশ আসত। এমনকি শতভাগ লভ্যাংশ দিলেও ৩ শতাংশের মতো আসে। তা দিয়ে বিনিয়োগকারীদের খুশি করা যেত কিনা তা বিবেচ্য বিষয়। তাই লভ্যাংশ দেয়ার বদলে ব্যবসায় বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড।

দ্বিতীয় বিষয় হলো- লভ্যাংশের টাকাটা আমরা যদি রি-ইনভেস্টমেন্ট (পুনর্বিনিয়োগ) করি, তাহলে ব্যবসায় ভালো গ্রোথ হবে এবং এটা ভালো রিটার্ন পাওয়া নিশ্চিত করবে। এছাড়া আরও অনেকগুলো বিষয় আমরা চিন্তাভাবনা করেছি। আমাদের শেয়ারহোল্ডাররা সবসময় ফোকাস করেন শেয়ারহোল্ডারদের ইন্টারেস্টের দিকে বলে উল্লেখ রবির সিইও।

রবি যে মুনাফা করেছে, তা দিয়ে কর প্রদানের পর যে লভ্যাংশ দিতে পারতাম তা দিয়ে বিনিয়োগকারীদের খুশি করা যেত কিনা তা বিবেচ্য বিষয়। তাই লভ্যাংশ দেওয়ার বদলে ব্যবসায় বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড।
মাহতাব উদ্দিন বলেন, আমাদের বোর্ড অবশ্যই লভ্যাংশ দেবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। সঠিক সময়, সঠিক মুহুর্তে এটা করতে চাচ্ছি। সেটা কত তাড়াতাড়ি হবে, সেটা বলা মুশকিল। কারণ এটা হচ্ছে বোর্ডের ব্যাপার। আমি যেটা বলতে চাচ্ছি তা হলো এতো কম লভ্যাংশ দিয়ে কাউকে খুশি করা যাবে কি না, সেটা ক্রিটিক্যাল কনসার্ন।

বিএসইসির অসন্তুষ্টি ও তলবের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বিএসইসি খুশি না, তারা আশা করেছিল লভ্যাংশ দেয়ার এবং আমি বলবো না তাদের প্রত্যাশার কোনো অসুবিধা আছে। কারণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা সবসময় চাইবেন প্রতিটি কোম্পানি ভালো লভ্যাংশ দিয়ে শেয়ারহোল্ডারদের খুশি রাখুক। আমরা বিএসইসির সঙ্গে পুরোপুরি একাত্মতা ঘোষণা করছি। ওনারা ওনাদের কনসার্নগুলো শেয়ার করেছেন এবং অবশ্যই ওনাদের কনসার্নগুলো আমরা বোর্ড মেম্বারদের সঙ্গে শেয়ার করবো। একই সঙ্গে কি কি অ্যাকশন নেয়া যায়, সে ব্যবস্থাটা নেয়ার চেষ্টা করবো বলে উল্লেখ করেন মাহতাব উদ্দিন আহমেদ।

উদ্যোক্তা ও পরিচালকরা লভ্যাংশ না নিয়ে শুধু সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দিলে রবি ১০ শতাংশের ওপরে লভ্যাংশ দিতে পারত এমন এক প্রশ্নের জবাবে রবির সিইও বলেন, অন্য কোম্পানি কি করে না করে, সেটা আমি বলতে পারি না। পৃথিবীতে খুব কম কোম্পানি আছে, গুড গভর্নেন্স কোম্পানি এই ধরনের লভ্যাংশ দেবে। তিনি বলেন, আমরা ২০১৪ সালের পরে কাউকে কোনো ধরনের লভ্যাংশ দেয়নি। আমাদের যে বিনিয়োগকারীরা মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে তাকে আমি লভ্যাংশ দিচ্ছি না, এখন আমি এখানে এসে এই ধরনের কাজ করবো? আমি এটুকু বলতে পারি- আমার জানা মতে ভালো কোম্পানি, ভালা গভর্নেন্স কোম্পানি এমনটা করবে না। তবে এই অপশনটাও (উদ্যোক্তা ও পরিচালকরা লভ্যাংশ না নিয়ে শুধু সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেয়া) বোর্ডে আলোচনা করা হয়েছিল। রবির বোর্ড লভ্যাংশ দিতে চায় না, আমি এমন কোনো মনোভাব পায়নি।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে মাহতাব উদ্দিন বলেন, রবির বোর্ড সদস্যরা লভ্যাংশের বিপক্ষে না। গ্রোথের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ ও লভ্যাংশের বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। তবে যদি একটা বছর দেখে এটার সিদ্ধান্ত (লভ্যাংশ না দেয়া) নেন, সেটা ফেয়ার হবে না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন