মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে জাতীয় কর্মসূচির আলোকে খুলনায় বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমানে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনায় পুষ্পমাল্য অর্পণের ক্ষেত্রে প্রতিটি সংগঠনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ জন প্রতিনিধি এবং ব্যক্তি পর্যায়ে একসাথে দুই জনের বেশি শহিদ মিনারে যেতে করতে পারবেন না। মাস্ক পরিধান ছাড়া কেউ শহিদ মিনার চত্ত¡রে প্রবেশ করতে পারবেন না।
আজ এক সরকারী এক তথ্য বিবরণীতে এ নির্দেশনা জানানো হয়েছে।
শহিদ দিবসের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ২১ ফেব্রæয়ারি প্রথম প্রহরে (০০.০১টায়) শহিদ হাদিস পার্কে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, অন্যান্য দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানসহ রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং ভাষা শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনার মাধ্যমে শহিদ দিবসের কর্মসূচির সূচনা হবে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, সকল বেসরকারি ভবনে সঠিক নিয়মে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা এবং সূর্যাস্তের সাথে সাথে পতাকা নামানো হবে। সকাল ১০টায় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নগরভবন চত্ত¡রে সিটি কর্পোরেশনের আয়োজনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে বাদ জোহর খুলনা কালেক্টরেট জামে মসজিদসহ সকল মসজিদে ভাষা শহিদদের রুহের মাগফিরাত এবং দেশের শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। মন্দির, গীর্জা ও অন্যান্য উপসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হবে।
২১ ফেব্রæয়ারি বিকেল চারটায় অমর শহিদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে বয়রাস্থ বিভাগীয় গণ-গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধু ও ভাষা আন্দোলন বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন