এমনিতেই প্রতিবেশী দুই শক্তিশালী দেশ চীন ও পাকিস্তানের বন্ধুত্ব নিয়ে উদ্বেগে ভুগছে ভারত। এর সাথে যোগ দিয়েছে উদীয়মান শক্তি তুরস্ক। এ বার আফগানিস্তান সীমান্তে পাকিস্তান এবং তুরস্ক শুরু করেছে যৌথ সামরিক মহড়া। স্বাভাবিক ভাবেই এই মহড়ার দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখছে আতঙ্কিত ভারত।
জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেয়ার পরে পাকিস্তানের সাথে সুর মিলিয়ে তীব্র বিরোধিতা জানিয়েছিল তুরস্কও। তার পরে ২০১৯ এবং ২০২০ সালে টানা দু’বছর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন-সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারত-বিরোধিতা বজায় রেখেছে তারা। ‘আতাতুর্ক ২০২১’ নামের এই মহড়াটির উদ্দেশ্য, সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা।
কিন্তু ভারতের কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, দুই ইসলামির রাষ্ট্রের মধ্যে এ’টি এক রণকৌশলগত জোটের প্রস্তুতি। যা পাকিস্তানের ভারত-বিরোধী সন্ত্রাসকেই প্রকারান্তরে পুষ্ট করতে পারে। কাশ্মীর-সহ গোটা দক্ষিণ এশিয়াতেও যার প্রভাব পড়তে বাধ্য। ইসলামী বিশ্বে সউদী আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দেশের সঙ্গে দূরত্ব রচনা হওয়ার পরে তুরস্কের হাত শক্ত করে ধরেছে ইমরান খানের সরকার।
আগামী সপ্তাহেই সন্ত্রাসবাদে আন্তর্জাতিক পুঁজি জোগানোর উপর নজরদারি সংস্থা এফএটিএফ-এর বৈঠক। সেখানেও পাকিস্তানের পাশেই দাঁড়াতে চলেছে তুরস্ক। ইস্তানবুলের পক্ষ থেকে গত বছরই বলা হয়েছিল, কাশ্মীরের বিষয়টি পাকিস্তানের মতো তাদের কাছেও গুরুত্বপূর্ণ। এই অবস্থায় যৌথ সামরিক মহড়া চাপ বাড়িয়েছে নয়াদিল্লির। সূত্র: এবিপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন