শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

যৌন হয়রানির অভিযোগে জাবি শিক্ষককে অপসারণ

জাবি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৬:০৬ পিএম

ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সানওয়ার সিরাজকে অপসারণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট।


বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ও সিন্ডিকেটের সদস্য সচিব রহিমা কানিজ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের নিয়মিত সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।’

রহিমা কানিজ বলেন, তার বিরুদ্ধে (সানওয়ার সিরাজ) আনিত অভিযোগ যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেলের তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রমাণিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট এ সিদ্ধান্ত সিনয়েছে।

তিনি আরও বলেন, অফিস বন্ধ থাকায় সানওয়ার সিরাজের কাছে অফিস আদেশ পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। পরবর্তী কার্যদিবসে অফিস আদেশের মাধ্যমে তাকে বিষয়টি জানানো হবে।’

এদিকে এই অপসারণকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছে অপসারিত শিক্ষক সানওয়ার সিরাজ। বুধবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করে তিনি ন্যায় বিচার দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চাকুরিচ্যুত অধ্যাপক মামুন আকন্দ চাকরি ফিরে পেতে তার কথিত স্ত্রীকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ দায়ের করেছিল।’

মূলত ওই ছাত্রীর অভিযোগ ছিল, ‘আমি তাকে পরীক্ষায় নম্বর কম দিয়েছি। এইজন্য সে তার বন্ধুদের কাছে বলেছে, ‘সে আমাকে দেখে নিবে।’ আমার প্রতি ছাত্রীর এই ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে মামুন আকন্দ তার উদ্দেশ্য হাসিল করতে চেয়েছিল।’

সংবাদ সম্মেলনে সানওয়ার সিরাজ দাবি করেন, ‘অভিযোগকারিনী যেসব কল রেকর্ডিং এবং ফেসবুক মেসেঞ্জারের স্কিনশর্ট সেলের নিকট মেইলের মাধ্যমে জমা দিয়েছেন তা বিকৃত করে উপস্থাপন করা।’

তিনি বলেন, এই মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ নিয়ে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘যৌন নিপীড়নবিরোধী সেলে’র প্রধান আমার বিরুদ্ধে এক পাক্ষিক তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। আমি বিভিন্ন সময় এই মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে নানা ডকুমেন্টস উপস্থাপন করতে চাই। কিন্তু সেল তা গ্রহণ না করেই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।

তিনি আরও বলেন, যিনি তদন্ত কার্যক্রম সেলের প্রধান তিনি একাধারে সিদ্ধন্ত গ্রহণকারী সিন্ডিকেটেরও সদস্য। যিনি তদন্ত করছেন তিনিই যদি সিদ্ধন্ত দেন তাহলে সে সিদ্ধান্ত এক পাক্ষিক হয়েছে বলে আমি মনে করি।

এক প্রশ্নের জবাবে সানওয়ার সিরাজ বলেন, ‘আমার কাছে যেসব ডুকুমেন্টস আছে তা দিয়ে কোনভাবেই আমাকে এই শাস্তি দিতে পারেনা। মূলত অধ্যাপক বশির ও সেলের প্রধান অধ্যাপক রাশেদার পদের দ্বন্দ্বের কারণে আমাকে এই শাস্তি দেয়া হয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে তিনি তার এই শাস্তি পুনর্বিবেবেচনা করার দাবি জানিয়ে ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করেন।

প্রসঙ্গত, এই যৌন হয়রানির বিচার নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন ভিসিপন্থী শিক্ষকরা। একপক্ষের দাবি অন্যায়ভাবে সানওয়ার সিরাজকে শাস্তি দেয়া হয়েছে। অন্যপক্ষ বলছেন, যথাযথ ডুকুমেন্টসের ভিত্তিতে শাস্তি দেয়া হয়েছে। এই নিয়ে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে ক্যাম্পাসের শিক্ষক রাজনীতিতে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন