হবিগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা ঃ জেলার মাধবপুরে আলোচিত ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় নানা রহস্যের সৃষ্টি হচ্ছে। হত্যার প্রকৃত রহস্য, ঘটনায় কতজন খুনি অংশ গ্রহণ করেছিল তা জানার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে জেলাবাসী। দিন যতই অতিবাহিত হচ্ছে রহস্যের দানা তত প্রকট হতে শুরু করেছে। একটি হত্যাকা-ের ঘটনা নিয়ে তিনজন বাদী হয়ে ইতোমধ্যে আলাদা তিনটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। আর এ তিনটি অভিযোগ নিয়ে বিপাকে পড়েছে পুলিশ। প্রথমে নিহতের ভগ্নিপতি, পরে মেয়ের জামাতা ও সর্বশেষ নিহতের স্বামী বাদী হয়ে মামলা করেছে। এখন পুলিশের মধ্যে আশংকা দেখা দিয়েছে আবার কিনা নিহত শিমুলের পরিবারের কেউ আরেকটি অভিযোগ দেন!
জানা যায়, তিন খুনের ঘটনায় থানায় দায়েরকৃত মামলার প্রথম বাদী নিহত জাহানারার ভগ্নিপতি হাজী মোঃ মোহন মিয়া ওরফে কালন মিয়া নিজেকে মামলার বাদী নয় বলে দাবী করেছেন। গতকাল আদালতে এফিডেভিট দিয়ে তিনি অস্বীকার করেন।
কালন মিয়া তার এফিডেভিটে উল্লেখ করেন, গত ২৩ আগস্ট রাতে লোকমুখে তার শালিকা জাহানারা বেগম জানু স্বামী পক্ষের আত্মীয়স্বজন দ্বারা খুন হয়েছে বলে জানতে পেরে থানায় লাশ দেখতে আসেন।
এ সময় পুলিশ শনাক্তকারী হিসেবে সাদা কাগজে তার স্বাক্ষর নেয়। পরে এ স্বাক্ষরকৃত কাগজে মামলা লিখে এফআইআর করেন। এফিডেভিটে তিনি আশংকা ব্যক্ত করেন অপরাপর আসামীদের রক্ষা করতে পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে প্রতারণা করে সাদা কাগজে তার স্বাক্ষর নেয়। যা সে মামলা দায়েরের উদ্দেশ্যে দেয়নি। অপর দিকে স্ত্রী কন্যাসহ ৩ জনকে হত্যা এবং শিশু জাহিদকে হত্যার উদ্দেশে আক্রমণের বিচার চেয়ে গিয়াস উদ্দিন বাদী হয়ে তারই ভাই শাহ আলম ওরফে তাহের উদ্দিন (৩২), আলাউদ্দিন (৩৮), জুয়েল মিয়া (১৯), জহুরুল ইসলাম (২০)সহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে গতকাল দুপুরে একটি দরখাস্ত মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোকতাদির হোসেন রিপন প্রথম বাদী কালন মিয়া আশংকার কথা অস্বীকার করে বলেন, পুলিশের কাউকে আড়াল করতে যাবে কেন। নিহতের স্বজন বাদী হয়ে অভিযোগ দেয়। আমরা অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন