শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও ভোট ডাকাতি করে জনগণের মৌলিক অধিকারও হরণ করা হয়েছে

বরিশাল বিভাগীয় সমাবেশে বিএনপি নেতৃবৃন্দ

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৭:৫০ পিএম

সিটি করপোরেশন সহ বিভিন্ন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান সমূহে নির্বাচনে কারচুপি সহ ভোট ডাকাতির ঘটনা জনগণের কাছে তুলে ধরতে বিভাগীয় সদরে বিএনপি আহুত সমাবেশের প্রথম দিনে বরিশাল জেলা স্কুল মাঠে জনসভায় কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অবঃ) হাফিজ সহ মেয়র প্রার্থীগন বক্তব্য রেখেছেন। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে সন্ধা পর্যন্ত এ সমাবেশে জনসভার রূপ নেয়। বিএনপি’র পক্ষ থেকে নগরীর কেন্দ্রস্থল টাউন হলের সামনে অনুমতি চাওয়া হলেও বুধবার রাতে জেলা স্কুল মাঠে সমাবেশের অনুমতি দেয় মহানগর পুলিশ। ফলে কোন ধররে প্রচারনা ছাড়াই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে প্রস্তুতি গ্রহন করে বিকেলের ঐ সমাবেশে বিপুল জনতা ও কর্মীদেও সমাগম ছিল লক্ষ্যনীয়।

কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও মহানগর বিএনপি সভাপতি সাবেক মেয়র ও একাধীকবারের এমপি মুজিবুর রহমান সারোয়ারের সভাপতিত্বে এসমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অবঃ) হাফিজ উদ্দিন বীর বিক্রম। অন্যন্যের মধ্যে ঢাকার দুই সিটির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও প্রকৌশলী ইসরাক হোসেন, খুলনার মেয়ার প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু, রাজশাহীর মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, চট্টগ্রামের মেয়র প্রার্থী ডাঃ শাহদত হোসেন বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে হাফিজ উদ্দিন বীর বিক্রম বলেন, এ সরকার মুখে গনতন্ত্রের কথা বলে, অথচ জনগনের ভোটধিকারটুকুও কেড়ে নিয়েছে। তিনি বলেন, ’৭১-এর ২৫ মার্চ রাতে পাক বাহিনী নিরস্ত্র মানুষের উপর নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালানোর পর সব কিছু স্তব্দ হয়ে পড়ে। তখন মেজর জিয়া দিশেহারা বাঙ্গালীদের মাঝে বেঁচে থাকার ও লড়াই করার প্রেরনা দিয়েছেন। তিনি কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে শুধু স্বাধীনতার ঘোষনা করেই থেমে থাকেননি। ইষ্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট নিয়ে বিদ্রোহ ঘোষনা করে যুদ্ধ করেছেন। মেজর জিয়া ভারতে গিয়ে যুদ্ধ করেননি। তিনি রনাঙ্গনে পাক বাহিনীর সাথে সরাসরি যুদ্ধ করেছেন। মেজর হাফিজ বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের তেমন কোন অবদান নেই। যখন ভারত বুঝতে পেরেছিণ পাকিস্থানের পরাজয় নিশ্চিত, তখন শেষ সময়ে এসে সহায়তা করে কৃতিত্ব নিয়েছে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইসচেয়য়ারমান মেজর হাফিজ সিলেটের জকিগঞ্জে পাক বাহিনীর পাঞ্জাব রেজিমেন্টের সাথে সরাসরি যুদ্ধের ঘটনা বর্ণনা করে বলেন, মেজর জিয়ার নেতৃত্বে ওই যুদ্ধে তিনিও অংশ নিয়েছেন। পাঞ্জাব রেজিমেন্টের উপর গোলবর্ষনের দায়িত্বে ছিলেন ক্যাপ্টেন মাহবুবুর রহমান। তিনি ৬ টি গোলা নিক্ষেপ করে পাঞ্জাব রেজিমেন্টকে ধরাশায়ী করেন। অদুরে একটি বাংকারে মেজর হাফিজ ও মেজর জিয়া অবস্থান করে নির্দেশনা দিচ্ছেন। এ সময় পাক বাহিনীর একটি গোলা এসে পড়লে ক্যাপ্টেন মাহবুবুর রহমান শহীদ হন। কিন্তু বেঁচে গেছেন তিনি ও মেজর জিয়া। এভাবে সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছেন। দেশ স্বাধীনের পর ভারত থেকে এসে নেতারা হিন্দুদের বাড়ি জমি দখল করেছে লুটপাট করেছে। আর যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছে, শহীদ হয়েছে তাদের খবরও কেউ রাখেনি।

হাফিজ তরুনদের উদ্দেশ্যে বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় একেকজন তরুনের মধ্যে যে তেজদীপ্ততা ছিল। এখন আর কারো মধ্যে নেই। সমাবেশে তার বক্তৃতার সময় শ্লোগান দেয়া তরুনদের উদ্দেশ্যে বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি কি তা বুঝতে ও না শুনে শ্লোগান দিলেই হবে না। শ্লোগানের অর্থ বুঝতে হবে এবং বক্তৃতা দিতে হবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের মতো লিখে দেয়া বক্তব্য পাঠ করার মতো নেতা হলে কিছুই হবে না। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে তরুনদের ভুমিকা নিয়েও হতাশা প্রকাশ করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এ নেতা।

সমাবেশে বিভিন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীরা বিগত নির্বাচনে তাদেও এলাকার ভোট চুরির বর্ণনা করেন। সমপাবেশে অন্যান্যের মধ্য বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. বিলকিস জাহান শিরিন, দক্ষিন জেলা বিএনপির সভাপতি এবায়দুল হক চাঁন, উত্তরের সভাপতি এম মেজবাহউদ্দিন ফরহাদ, আকন কুদ্দুসুর রহমান, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা নুরুল ইসলাম নয়, মহানগরের সভাপতি এ্যাড. আক্তারুজ্জামান শামীম প্রমুখ। সমাবেশের সঞ্চালনা করেন মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক জিয়াউদ্দিন সিকদার জিয়া।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন