ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মুহতারাম নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেছেন, ওয়াজ মাহফিলগুলোতে সরকার দলীয় জনপ্রতিনিধি এবং দলীয় নেতাকর্মীরা যেভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে তা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। মাহফিলের মঞ্চে সরাসরি আলেমদের অপমান এবং উঠিয়ে নিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা অশুভ ইঙ্গিত বহন করে। অপরদিকে লালবাগ মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা জসিম উদ্দীনের উপর সন্ত্রাসী হামলা সেই য়ড়যন্ত্রের অংশ কিনা তা ভেবে দেখতে হবে। অবিলম্বে মাওলানা জসিম উদ্দিনের উপর হামলাকারী সন্ত্রাসীর গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূল শাস্তি দিতে হবে। তিনি বলেন, মানুষের নাগিরক ও ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। সরকার মানুষের জান, মাল, ইজ্জত-আব্রু নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। তিনি বলেন, সরকার নির্বাচন কমিশনের মত একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে। তিনি বলেন, বিরোধী দল ও মতের উপর দমন-পীড়ন ও জুলুম, নির্যাতন ভাল লক্ষণ নয়। এ থেকে সরকারকে ফিরে আসতে হবে।
আজ শুক্রবার সকাল ৯ টা হতে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ঢাকা জেলা সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, উপদেষ্টা মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, যুব আন্দোলন সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ নেছার উদ্দিন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা জেলা শাখা সভাপতি আলহাজ্ব সৈয়দ আলী মোস্তফার সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারী আলহাজ্ব শাহাদাত হোসাইন ও মুহাম্মদ হাসমত আলীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, দপ্তর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, ঢাকা জেলা নেতা হাফেজ জয়নুল আবেদীন, আলহাজ্ব সুলতান আহমদ খান, আলহাজ্ব মোহাম্মদ হানিফ মিয়া, ডা. কামরুজ্জামান, এইচ এম জহিরুল ইসলাম, মাওলানা ইলিয়াস হোসাইন, টিএম মাহফুজুর রহমান প্রমুখ।
মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, আল-জাজিরায় প্রকাশিত রিপোর্টে জাতি হিসেবে আমাদেরকে লজ্জিত ও অপমানিত। বিশ্বে আমাদের চরমভাবে হেয় করেছে। তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, রিপোর্টের প্রতিবাদ করে মিথ্যা প্রমাণ করা সরকারের দায়িত্ব।
সম্মেলনে আলহাজ্ব শাহাদাত হোসাইকে সভাপতি, মোহাম্মদ হানিফ মিয়াকে সহ-সভাপতি, হাফেজ মাওলানা জহিরুল ইসলামকে সেক্রেটারী করে ঢাকা জেলা দক্ষিণ এবং মুহাম্মদ ফারুক খানকে সভাপতি, হাজী ইউনুছ আলীকে সহ-সভাপতি এবং মুহাম্মদ হাসমত আলীকে সেক্রেটারী করে ঢাকা জেলা উত্তর কমিটি ঘোষণা করেন প্রধান অতিথি।
মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, দেশ ক্রমেই অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে ধাবিত হচ্ছে। সরকার দলীয় স্বার্থে প্রশাসনযন্ত্রকে ব্যবহার করছে। জানমালের নিরাপত্তা নেই। চাল ও তেলের দাম বৃদ্ধিতে জনমনে উদ্বেগ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী বলেন, প্রচলিত রাজনীতির বাইরে থেকে নববী আদর্শে এবং সাহাবায়ে কেরামের নমুনায় অনুপ্রাণিত হয়ে ইসলামী আন্দোলন কাজ করছে। তাগুতি শক্তির মুলোৎপাটন করে দেশে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠাই যার লক্ষ্য। এ সংগঠন একদিন লক্ষ্যপানে পৌঁছবে, ইনশাআল্লাহ।
-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন