বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

মূল আসামিরা এখনও অধরা

হত্যাকান্ডের ১০ দিন অতিবাহিত

ফুলছড়ি (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০৭ এএম

গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য লাল মিয়া সরকার হত্যার ১০ দিন অতিবাহিত হলেও এ হত্যাকান্ডের প্রধান আসামিরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন। পুলিশ বলছে, হত্যা মামলার আসামিরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এদিকে খুনিরা ধরা না পড়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন নিহতের পরিবারসহ এলাকাবাসী।

গত ৯ ফেব্রুয়ারী সকালে নিজ বাড়ি থেকে ফুলছড়ি উপজেলা সদরে যাওয়ার পথে উড়িয়া ইউনিয়নের সাদেক খাঁ বাজারে দুই ইউপি সদস্য এনায়েত হোসেন ও সাদেক খাঁর নেতৃত্বে তাদের লোকজন ফজলুপুরের সাবেক ইউপি সদস্য লাল মিয়া সরকারের পথরোধ করে। এ সময় তাদের অতর্কিত হামলায় ও উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে লাল মিয়া সরকারের শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়। পরবর্তীতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে ওইদিন বিকেলে তিনি মারা যান। পরেরদিন হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে নিহতের লাশ নিয়ে উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল করে এলাকাবাসী। পরদিন বিকেলে নিহতের ছেলে মুরশিদ আলী বাদী ২৬ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ২০/২৫ জনকে আসামি করে ফুলছড়ি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

হত্যাকান্ডের পর সবাই মনে করছিলো দুই একদিনের মধ্যে খুনিরা গ্রেফতার হবে। কিন্তু হত্যাকান্ডের দেড় সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও খুনিরা গ্রেফতার হয়নি। হত্যাকান্ডে অংশ নেয়া মূল অপরাধী ও ইন্ধনদাতারা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন। তদন্তে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বেলাল হোসেন (২০) ও ওসমান গণি (৫২) নামের ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে হত্যা মিশনের নেতৃত্বদানকারী দুই ইউপি সদস্য এনায়েত হোসেন ও সাদেক খাঁসহ বাকিদের ধরতে পারছে না থানা পুলিশ। এতে নিহতের পরিবার উদ্বেগ ও উৎকন্ঠার মধ্যে রয়েছে।
নিহত লাল মিয়ার বড় ছেলে মো. মিলন মিয়া কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, প্রকাশ্য দিবালোকে আমার বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মধ্যযুগীয় বর্বর ও অবিশ্বাস্য এমন হামলা উপজেলাবাসীর হৃদয় কাঁপিয়ে দিয়েছে। হত্যাকান্ডের ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও প্রধান আসামিদের এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। আমি সকল আসামিদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানাই।

ফুলছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাওছার আলী বলেন, ইতোমধ্যে হত্যাকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি মূল আসামিদের গ্রেফতারে নজরদাড়ির ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন