বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

আফগান শান্তি প্রক্রিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন রয়েছে : ব্লিনকেন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১০:১৬ এএম

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বুধবার আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির সঙ্গে এক ফোনালাপে আফগান শান্তি প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন রয়েছে, এমন অবস্থানের কথা জানান। ফোনালাপে যুক্তরাষ্ট্রের আফগান নীতি চলমান পর্যালোচনা নিয়েও আলোকপাত করেন ব্লিনকেন। বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস এক বিবৃতিতে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র একটি শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যেখানে ন্যায়বিচার ও টেকসই রাজনৈতিক নিষ্পত্তি, স্থায়ী ও ব্যাপক যুদ্ধবিরতির মতো বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। -রয়টার্স

একই দিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তালিবানের সঙ্গে করা শান্তি চুক্তির প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ করেছে রাশিয়া। দেশটি বলছে, তালেবান চুক্তির শর্ত ভালোভাবে পূরণ করলেও ভিন্ন পথে হাঁটছে ওয়াশিংটন। রাশিয়ার আফগানিস্তান বিষয়ক বিশেষ দূতের দায়িত্ব পালন করছেন জামির কাবুলভ। তিনি বলেন, তালেবান যুদ্ধ বন্ধে ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে করা চুক্তি নিখুঁতভাবে পালন করে যাচ্ছে। তবে ওয়াশিংটন তার কথা রাখছে না। বার বার হামলা চালানোর মাধ্যমে তারা চুক্তি লঙ্ঘন করে চলেছে। তালেবানকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষার জন্যও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। তবে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের দাবি, তালেবান এখনও আল কায়েদার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে। শান্তি চুক্তি ভঙ্গ করে তারা সরকারি বাহিনী ও নিরীহ জনগণের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী হামলা অব্যাহত রেখেছে।

ফলে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনীর পুরোপুরি প্রত্যাহার বিলম্বিত হতে পারে। এই চুক্তির কারণে চলমান আফগান শান্তি প্রক্রিয়ার কার্যকারিতা ও সাফল্য নিয়েও কথা বলেন বারাদার। তিনি বলেন, বাইডেন প্রশাসনের প্রতি তালেবানের আহ্বান, তারা যেন ২০২০ সালে স্বাক্ষরিত সেনা প্রত্যাহার সংক্রান্ত শান্তি চুক্তি থেকে সরে না যায়। কেননা এটি আফগানিস্তানে যুদ্ধ বন্ধের সবচেয়ে কার্যকর উপায়। কেননা, এর ফলে এরইমধ্যে যুদ্ধক্ষেত্রের পরিধি হ্রাস পেয়েছে। আফগানিস্তানের বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে শান্তি আলোচনার সূচনা হয়েছে। কাতারের রাজধানীতে তালেবানের রাজনৈতিক দফতরের প্রধান বারাদার লিখেছেন, ‘দোহা চুক্তি স্বাক্ষরের এক বছর পেরিয়ে আমরা এখন আমেরিকান পক্ষকে বলবো তারা যেন এই চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকে।’

তালেবানের সঙ্গে সাবেক ট্রাম্প প্রশাসনের চুক্তিতে বলা হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো এবং অন্যান্য যেসব বিদেশি শক্তি এই যুদ্ধের সঙ্গে সম্পৃক্ত তারা ২০২১ সালের মে মাস নাগাদ আফগানিস্তান ত্যাগ করবে। ট্রাম্পের বিদায়ের পর তার সরকারের নানা নীতি পর্যালোচনা করছে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন বাইডেন প্রশাসন। আফগানিস্তান থেকে আড়াই হাজার মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের আগে হোয়াইট হাউজ এটি পর্যালোচনা করে দেখছে যে, তালেবান তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করছে কিনা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন