বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

মা’কে ক্ষমা করে দাও

ফাঁসি রুখতে কাতর আর্জি শবনম-পুত্রের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০৫ এএম

প্রেসিডেন্ট আঙ্কেলের কাছে সাত খুন মাফের আর্জি শবনমের নাবালক পুত্রসন্তানের। স্বাধীন ভারতে প্রথম মহিলা কয়েদি শবনমের ফাঁসির প্রস্তুতি চলছে উত্তরপ্রদেশের মথুরার জেলে। এই চরম মুহ‚র্তে বিরলের মধ্যে বিরলতম নৃশংস অপরাধে অভিযুক্ত ৩৮-এর শবনমের ফাঁসি খারিজের আবেদন নিয়ে প্রেসিডেন্টের দ্বারস্থ তার ছেলে।

প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোবিন্দের দৃষ্টি আকর্ষণের উদ্দেশে একটি প্ল্যাকার্ডে বাচ্চা ছেলেটি লিখেছে, ‘প্রেসিডেন্ট আঙ্কেল দয়া করে আমার মা শবনমকে ক্ষমা করে দিন। ওর প্রাণভিক্ষা দিন’ ১০ মায়ের একরত্তি শিশুসহ নিজের পরিবারের সাত সদস্যকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুনে অভিযুক্ত পেশায় শিক্ষিকা আমরোহার বাসিন্দা শবনম। স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে এই প্রথমবার কোনও মহিলা অপরাধীর ফাঁসির সাজা কার্যকর হতে চলেছে। ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী বিরল থেকে বিরলতম নৃশংসতার ঘটনায় প্রাণেদন্ডের সাজা শোনায় আদালত। সেই বিরলতম নৃশংসতার সংজ্ঞাতেই দোষী সাব্যস্ত শবনম আলি। কিন্তু কী করেছিল সে?

স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ পেশায় শিক্ষিকা শবনম অষ্টম পাশ কাঠের মিস্ত্রি সেলিমের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ায় তুমুল ঝড় ওঠে পরিবারে। সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় প্রেমের তাড়নায় প্রেমিক সেলিমের সঙ্গে মিলে গোটা পরিবারকে শেষ করে ফেলে শবনম। ২০০৮ সালে ১৪-১৫ এপ্রিল রাতে প্রেমিকের সঙ্গে মিলে কুড়ুল নিয়ে এক এক করে কুপিয়ে খুন করে নিজের বাবা, মা, দাদা, বউদি, দিদি, দিদির ছেলেকে। রেহাই পায়নি ১০ মাসের ভাইপোও। তবে অনেক ফন্দি এঁটেও পুলিশের নজরকে ফাঁকি দিতে পারেনি শবনম এবং সেলিম। তদন্ত শুরু হতেই ফাঁস হয়ে যায় সমস্ত মিথ্যে। পুলিশি জেরায় দোষ কবুল করে সে। গ্রেফতার হয় সেলিমও। ২০১০ সালে ১৪ জুলাই জেলা ও দায়রা আদালত মৃত্যুদন্ড দেয় এই প্রেমিক যুগলকে। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গেলেও তাদের আর্জি খারিজ হয়ে যায়। পরে শবনমের প্রাণভিক্ষার আবেদনও খারিজ হয়ে যায় প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কাছে। নাবালক পুত্রের আর্জিতে নতুন করে কোনও সিদ্ধান্ত বদল হবে কি না তা সময়ই বলবে। তবে এখনও পর্যন্ত অপরাধীর কোনও ফাঁসির দিন ধার্য হয়নি।

খুনের ঘটনার সময়ই ২ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল শবনম। জেলেই জন্ম হয় ছেলের। ৬ বছর বয়স হলে তাকে দত্তক নেয় শবনমেরই বান্ধবী। তার বর্তমান অভিভাবক উসমান জানিয়েছেন পড়াশুনায় মেধাবী শবনমের ছেলে পড়ে শহরের নাম করা এক স্কুলে। শবনমের পারিবারিক সমস্ত সম্পত্তির উত্তরাধিকার সে। যদিও সেই সমস্ত সম্পত্তি ভাল কাজে দান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাত খুনে দোষী সাব্যস্ত শবনম আলি। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন