দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) উপজেলা সংবাদদাতা
ফারাক্কা ব্যারেজের খুলে দেয়া ১০৪টি কপাটের বিরূপ প্রভাবের ফলে উজান থেকে নেমে আসা পানি পদ্মা নদীতে অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে দু’টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়। শনিবার থেকে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকলেও গত ২৪ ঘণ্টায় বন্যার পানি ২ সেন্টিমিটার কমেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। তবে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ও চিলমারী ইউনিয়নের ৩৪টি গ্রাম এখনও পানিবন্দি অবস্থায় থাকায় কমেনি তাদের দুর্ভোগ। এদিকে পদ্মার পানি ধীর গতিতে কমতে শুরু করলেও নতুন করে পদ্মার ভাঙন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। গত দু’দিনে উপজেলার চিলমারী ও মরিচা ইউনিয়নের পশ্চিম উদয়নগর, ভবনন্দদিয়াড় ও মুল্লুকচাঁদপুর গ্রামের মুল্লুকচাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ শতাধিক ঘরবাড়ি নদী গর্ভে তলিয়ে গেছে। এছাড়াও বন্যার কারণে দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছে রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নে ১৯টি গ্রামের মধ্যে ১৮টি এবং চিলমারী ইউনিয়নে ১৬টি গ্রামের প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষ। জনদুর্ভোগের পাশাপশি গবাদিপশুর খাদ্য নিয়েও চরম বিপাকে পড়েছে বানভাসিরা। বানভাসিদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হলেও চারদিক জলমগ্ন থাকায় গবাদিপশুর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে চরমে। সেই সাথে সংকট দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানিরও। তবে বন্যাকবলিত দুই ইউনিয়নের জন্য প্রতি টিমে ৪ সদস্য করে ৪টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। তারা নিজ নিজ এলাকায় কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন দৌলতপুর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মসিউল ইসলাম। এদিকে বন্যা কবলিত রামকৃষ্ণপুর ও চিলমারী বন্যার্তদের মাঝে সরকারিভাবে ২৩ মেট্রিক টন চাল ত্রাণ সহায়তা হিসেবে প্রদান করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন, দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তৌফিকুর রহমান। আরও ত্রাণ প্রদান করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। আকস্মিক বন্যার কারণে রামকৃষ্ণপুর ও চিলমারী ইউনিয়নের ৩৪টি গ্রামের ১৫ হাজার পরিবারের প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। সেই সাথে বন্ধ রয়েছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন