সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগ বেয়াদবির বাহানায় ১০ জনকে নির্যাতন

ময়মনসিংহ ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:৪৫ পিএম | আপডেট : ১:১৩ পিএম, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

বেয়াদবির বাহানা তুলে তুঘলিক কান্ড ঘটিয়েছে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগ (মমেক)। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত নির্যাতনের শিকার হয়ে ১৫ থেকে ২০ জন শিক্ষার্থী। এছাড়াও ভাংচুর করা হয় সাধারণ শিক্ষার্থীদের আবাসিক কক্ষ। নির্যাতনের শিকার একাধিক শিক্ষার্থীর অভিযোগ, বর্তমান কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী না হওয়ায় বেয়াদবির বাহানা বানিয়ে মারপিট করা হয়েছে।

জানাযায়, বৃহস্পতিবার বিকালে জুনিয়রের বেয়াদবির বাহানা বানিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর চড়াও হয় সভাপতি অনুপম সাহা ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল হাসান এবং তাদের অনুসারীরা। তখন ছাত্রলীগের অন্য সদস্য এবং কর্মীরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিকও হয়। পরে রাতে আবারও আবাসিক কক্ষে গিয়ে রুম দখল করে। এসময় বেধড়ক পিটিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম করে।

আহতরা হচ্ছেন- ময়মনসিংহ মেডিকেল ডিবেটিং সোসাইটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হানিফ রুপক, সহ তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান রুকন, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আরিফুল হাসান সৌরভ, কার্যকরী সদস্য রামিম সরফরাজ খান, কার্যকরী সদস্য রেজওয়ান চৌধুরী শাওন, মমেক শাখা বিডিএফ স্টুডেন্টস উইং এর মনোজ রায়, সহ-সম্পাদক অয়ন হালদার, সদস্য ফারুকসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
পরে তাদের কক্ষে গিয়েও তাণ্ডব চালায়।

মমেক ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান আরিফ বলেন, গত ডিসেম্বরে ব্যাডমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করে আমার রুমে তাণ্ডব চালায়। আমি ছাত্রলীগের কর্মী হয়েও তাদের কাছ থেকে রেহাই মেলেনি। নতুন কমিটির পর থেকে ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

মমেক ছাত্রলীগের আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাইমিন আরাফ ও সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান মোমিন বলেন, অনুপম-হাসানদের বিরুদ্ধে সংগঠনের নাম বিক্রি করে মেডিকেল হোস্টেলে অবৈধ রুম দখল, সন্ত্রাস, মাদকের ব্যবসা, চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। নগরের ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে তার অনুসারীরা চাঁদাবাজি করে থাকে বলে জনশ্রুতি রয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে সভাপতি অনুপম সাহাকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল হাসানের ব্যবহৃত মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে কতোয়ালী মডেল থানার ওসি তদন্ত ফারুক হোসেন জানান, হলের সীট দখলকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। এসময় বেশ কয়েকজন আহত হন। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ আসেনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন