ভারত সরকার কাশ্মীরে ২০১৯ সালে স্বায়ত্তশাসন বাতিল এবং পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন আইন চালুর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা। এতে সেখানকার মুসলিমরা বিভিন্নভাবে বঞ্চিত হবেন বলে আশঙ্কা জানিয়েছেন তারা। ইউরোপীয় ও আফ্রিকান প্রতিনিধিরা কাশ্মীর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার এক দিন পরই এমন বিবৃতি দেওয়া হলো। তাতেই ক্ষোভ জানিয়েছে ভারত সরকার। তাদের দাবি, জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের দেওয়া বিবৃতিটি নিরপেক্ষ নয়। বিদেশি প্রতিনিধিদের কাশ্মীর সফরকে মাথায় রেখে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এমন উদ্বেগ জানানো হয়েছে। ২০১৯ সালের আগস্টে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারত সরকার। ৩৭০ ধারা বিলোপ করে একে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করা হয়। অঞ্চলটিকে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ নামে আলাদা দুটি ভাগে ভাগ করে ফেলা হয়। বাতিল করা হয় কাশ্মীরের বিশেষ সাংবিধানিক অধিকার। ঐ অঞ্চলের ভূমি ও চাকরির ওপর থেকে সেখানকার বাসিন্দাদের বিশেষ সুরক্ষাও বাতিল করে দেওয়া হয়। কাশ্মীরে অন্য এলাকার ভারতীয় নাগরিকদের ভূমি কেনার সুযোগ রেখে ২০২০ সালে একটি আইনও পাশ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সংখ্যালঘু ইস্যু ও ধর্ম বিশ্বাসের স্বাধীনতাবিষয়ক দুই বিশেষ প্রতিনিধি একটি বিবৃতি দেন। সেখানে বলা হয়, গত বছর ভারত সরকার জম্মু-কাশ্মীরে স্বায়ত্তশাসন বাতিল ও নতুন আইন কার্যকরের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে রাজনীতিতে মুসলিমদের অংশগ্রহণ কমে যাবে। চাকরি ও ভূমির মালিকানা থেকে তারা বঞ্চিত হবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয় বিবৃতিতে। এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শিবাস্তব বলেন, ‘জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অখন্ড অংশ। পার্লামেন্টের আদেশক্রমেই এর মর্যাদায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। যে পরিবর্তনগুলো আনা হয়েছে তার একটি হলো গোটা ভারতে যে আইনগুলো প্রচলিত আছে তা কাশ্মীরেও কার্যকর রাখা; যেন অন্য সবার মতো সেখানকার জনগণও একই আইনি অধিকার ভোগ করতে পারেন।’ রয়টার্স, টাইমস অব ইন্ডিয়া।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন