তুলনামূলক গরম তাপমাত্রাতে ভাল থাকবে ফাইজারের করোনা ভ্যাকসিন। শনিবার এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থা ফাইজার এবং তার জার্মান সহযোগী বায়োএনটেক।
শুরুতে জানানো হয়েছিল, ভ্যাকসিন সংরক্ষণে মেরুপ্রদেশীয় ঠান্ডা প্রয়োজন। সেই অনুযায়ী গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছিল। এত দিন মাইনাস ৬০ থেকে মাইনাস ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে মজুত রাখা হচ্ছিল ভ্যাকসিন। কিন্তু এই কারণে ফাইজারের ভ্যাকসিন ক্রয় থেকে পিছিয়ে গিয়েছে গ্রীষ্মপ্রধান দেশগুলো।
পুরনো নির্দেশিকা সংশোধন করে ফাইজার সম্প্রতি ‘ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (এফডিএ)-কে জানিয়েছে, মাইনাস ২৫ থেকে মাইনাস ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ২ সপ্তাহ পর্যন্ত ভাল থাকবে ভ্যাকসিন। অর্থাৎ, সাধারণ ফার্মাসিউটিক্যাল ফ্রিজার ও রেফ্রিজারেটরেই ভাল থাকবে প্রতিষেধকটি। ফাইজারের সিইও অ্যালবার্ট বোরলার কথায়, ‘আমাদের আবেদন যদি ছাড়পত্র পায়, টিকাকরণ কেন্দ্রগুলোর ভ্যাকসিন সংরক্ষণ ও সরবরাহ পদ্ধতি সহজ হয়ে যাবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আজ ফাইজার-এর কারখানা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। জানিয়েছেন, গরম আসার মধ্যেই যথেষ্ট ভ্যাকসিন মজুত করে ফেলা হবে। সংস্থার সিইও বোরলা-ও জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে সপ্তাহে ৫০ লাখ ডোজ সরবরাহ করা হচ্ছে। চেষ্টা করা হচ্ছে পরিমাণটা দ্বিগুণেরও বেশি করা।
ভ্যাকসিন মজুত করা নিয়ে আমেরিকা-ইউরোপ স্বস্তি প্রকাশ করলেও অসন্তুষ্ট বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। টিকার সমবণ্টন করার দাবি তুলেছে তারা। এ প্রশ্নও তুলেছে, কেন ১৩০টি দেশ এখনও একটি ডোজও পায়নি? রোববার ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন (ডব্লিউটিও) জানিয়েছে, শুধু নিজেদের সমস্যার কথা না-ভেবে ব্রিটেনের উচিত গরিব, উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সাহায্য করা।
শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘ভ্যাকসিন মজুতের বিষয়ে আমরা এখন অনেকটাই ছন্দে ফিরেছি। জুলাই মাসের মধ্যে সমস্ত আমেরিকান বাসিন্দার টিকাকরণের জন্য প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন হাতে চলে আসবে।’ তিনি বলেন, ‘কবে সব ঠিক হয়ে যাবে, দিনক্ষণ নির্দিষ্ট করে বলতে পারব না। কিন্তু এটুকু বলতে পারি, যতটা সম্ভব আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।’ সূত্র: ফিনান্সিয়াল টাইমস।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন