পটুয়াখালীর মহিপুরে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে ৬৫ বছরের ভোগদখলীয় বসতবাড়ি জবর দখল ও কবরস্থান ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এতে বাধা দেয়ায় জেসমিন (৩০),রাজিয়া (৪৫) নামে দুই গৃহবধুকে বেধরক পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। এসময় তাদের বাচাঁতে গিয়ে শিশু কিশোরসহ অন্তত আরো ৩ জন আহত হয়। আহতরা বর্তমানে কলাপাড়া উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীণ রয়েছে। শুক্রবার মহিপুর থানার লতাচাপলী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের লক্ষী গ্রামে এঘটনা ঘটে। এবিষয়ে মহিপুর থানায় ভূক্তভোগী ওই পরিবার অভিযোগ করলেও অদ্য পর্যন্ত পাশে দাড়ায়নি পুলিশ। অসহায় এই পরিবারটি ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনসার উদ্দিন মোল্লার কাছে সাহায্য চাইলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারনে উল্টো তাদের জমিতে ঘর তুলতে নির্দেশ দিয়েছেন চেয়ারম্যান এমন অভিযোগ নির্যাতনের শীকার ওই পরিবারের।
নির্যাতনের শিকার চুন্নু জানান, দীর্ঘ ৬৫ বছর যাবৎ পৈতৃক ভিটিতে বসবাস করে আসছেন তারা। ভূয়া বন্দোবস্তের নামে জবর দখল করে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনছার মোল্লা ও তার বড় ভাই মোকলেছ মোল্লার নেতৃত্বে জমি দখলসহ পাশবিক নির্যাতন চালানো হয় তাদের পরিবারের প্রতি। দখলদাররা প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসেনি। উল্টো তাদেরকে অনবরত হুমকী দেয়া হচ্ছে।
মহিপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, মারধর করার অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন