বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

হল খুলে দেয়ার দাবি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের

জাবি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৭:১১ পিএম

শিক্ষার্থীদের উপর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন গেরুয়ার কতিপয় সন্ত্রাসী কর্তৃক নৃশংস হামলার ঘটনায় নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলসমূহ খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

রবিবার সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক সৈয়দ মোহম্মদ কামরুল আহছান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিবৃতিতে তারা এই নিন্দা জানিয়ে অতি দ্রুত সন্ত্রাসীদেরকে বিচারের আওতায় আনারও জোর দাবি জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন গেরুয়ায় বসাবসরত শিক্ষার্থীদের উপর কতিপয় চিহ্নিত সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কয়েক ঘন্টা ধরে নৃশংস আক্রমণ চালিয়েছে। এসময় ১০ রাউন্ড গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে বলেও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ক্রিকেট টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন আগে গেরুয়াবাসী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীদের সাথে সংগঠিত একটি তুচ্ছ ও মীমাংসিত ঘটনাকে পুঁজি করে পরিকল্পিতভাবে ১৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় গেরুয়াবাজারে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের চারটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয় এলাকার সন্ত্রাসীরা।

‘এরপর এলাকায় অসত্য তথ্য ছড়িয়ে আশেপাশের এলাকা থেকে সন্ত্রাসীদের জড়ো করে একাত্তরের হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর অনুকরণে ‘সার্চ এন্ড ডেস্ট্রয়’ কায়দায় গেরুয়ায় বসাবসরত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায়। ’

‘প্রায় ৪ ঘন্টা ব্যাপী চলমান এই হামলায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। কোন কোন সূত্র এঘটনায় স্থানীয় ক্ষমতাসীনদের মাদক ও চাঁদা আদায়ের প্রভাব বলয় বিস্তারের অন্তর্দ্বন্দের বহিঃপ্রকাশ বলেও অভিহিত করেছেন।’

‘এরকম নজিরবিহীন বীভৎস হামলার ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি। এ বিষয়ে দীর্ঘ সময় ধরে বিশ্ববিদ্যালয়, স্থানীয় ও পুলিশ প্রশাসনের নির্বিকার থাকা জনমনে নানান প্রশ্নের উদ্রেক করেছে। ’

‘বিশেষত, ঘটনার সূত্রপাত হওয়ার সাথে সাথেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন কর্তৃক শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব না নিতে চাওয়া আমাদেরকে হতবিহবল করেছে। আমরা নিশ্চিত দ্রুত যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া গেলে ক্ষয়ক্ষতি শুণ্যে নামিয়ে আনা সম্ভব ছিলো। ’

‘একথা অনস্বীকার্য যে, পৃথিবীর যেই প্রান্তেই আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা আক্রান্ত হউকনা কেন সামর্থ্যের সর্বোচ্চ দিয়ে তাঁদের পাশে দাঁড়ানো বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলের নৈতিক দায়িত্ব। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই দায় এড়ানোর মানসিকতা ও সন্ত্রাসীদের নৃশংসতা একই সূত্রে গাঁথা বলে আমরা মনে করি।’

বিবৃতিতে বলা হয়, বিভিন্ন বর্ষের অনলাইন ক্লাশ-পরীক্ষা চলমান থাকায় শিক্ষার্থীরা চরম নিরাপত্তাহীনতার মাঝেই আশেপাশের এলাকা সমূহে অবস্থান করছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে দেশের একমাত্র আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলসমূহ খুলে দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।

‘আমরা এই ঘটনার যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে জড়িত ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি। একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তরফ থেকে ঘটনায় আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ও ক্ষতি-পূরণের ব্যাবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।’

বিবৃতিতে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপস্থাপিত সকল যৌক্তিক দাবির প্রতি একাত্মতা পোষণ করছেন বলেও জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন