মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

কালভার্ট যেন মরণফাঁদ

মহসিন মিলন, বেনাপোল থেকে | প্রকাশের সময় : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০১ এএম

যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া-বাঁকড়া সংযোগ’র ব্যস্ততম সড়কের একমাত্র কালভার্টটি ভেঙে পড়ায় যান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
ফলে চার উপজেলার হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ভাঙা এ কালভার্টের অবস্থান ওই সড়কের কাঁচাবাজার মোড়ে। কালভার্টটি পারাপারে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকার মানুষের।
স্থানীয়রা জানান, বাগআঁচড়া বাজার শার্শা ও ঝিকরগাছার উপজেলার বৃহত্তম একটি ব্যস্ততম এলাকা। দক্ষিণবঙ্গের বৃহত্তম পশুরহাট, বৃহত্তম তরকারিহাট এবং বৃহত্তম ফলের বাজার এই বাজারে অবস্থিত।
স্বনামধন্য বৃহৎ প্রাইমারী স্কুল এবং কলেজটি এই বাগআঁচড়ায় অবস্থিত। তাছাড়াও এলাকার একমাত্র কাঁচাবাজারটি এই সড়কের পাশে অবস্থিত। পার্শ্ববর্তী ৪টি উপজেলার শতাধিক গ্রামের হাজার হাজার জনসাধারণ শিক্ষা, চিকিৎসা, চাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য, পণ্য ক্রয়-বিক্রয়সহ নানাবিধ প্রয়োজনে এই বাজারে আসা-যাওয়া করে।
এই বাজারের সর্বোচ্চ ব্যস্ততম সড়ক হচ্ছে বাগআঁচড়া টু বাঁকড়া সড়ক। যেটি বেত্রাবতী সড়ক নামে পরিচিত। এই সড়কে অবস্থিত মেয়েদের জন্য এ অঞ্চলের সর্ববৃহৎ এবং স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ ‘বাগআঁচড়া সম্মিলিত গার্লস স্কুল ও কলেজ’।
হাজার হাজার শিক্ষার্থী দীর্ঘদিন ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভাঙা ব্রিজ পার হয়ে যাতায়াত করছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। তাছাড়া ঝিকরগাছা ও মনিরামপুর এই দুইটি উপজেলার জনসাধারণের বিভিন্ন প্রয়োজনে বাগআঁচড়া বাজারে যাতায়াতের একমাত্র সড়ক এটি।
ফলে হাজার হাজার জনসাধারণ নানা প্রয়োজনের তাগিদে বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভাঙা ব্রিজ পার হয়ে যাতায়াত করছে এই সড়কে। ফলে যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা। স্থানীয় পথচারী মফিজুর বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের এ কাঁচাসড়ক ধরেই আশপাশের স্কুল কলেজে আসতে হয়।
হাটবাজারে কৃষিপণ্য আনা নেয়া হয় এ পথেই। কালভার্টটির দু’পাশের অংশ ভেঙে গেছে। ফলে ভাঙ্গা কালভার্টের ওপর দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে মানুষকে। তাছাড়া এ পথে যানচলাচল করছে ঝুঁকির মধ্যেই। কালভার্টটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। যে কোন সময় কালভার্টের গর্তে হতাহতের আশঙ্কা রয়েছে। তাই দ্রুত সমস্যা সমাধান ও নতুন কালভার্ট নির্মাণে জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসনের নিকট দাবি জানান তিনি।
ঝিকরগাছা উপজেলা প্রকৌশলী শ্যামল দত্ত জানান, ভাঙা কালভার্টের বিষয়টি এক মাস আগে শোনার পর প্রজেক্টের বাইরে ছিলো এখন সেটা প্রজেক্ট ভুক্ত করছি। পাশাপাশি চেয়ারম্যান সাহেবদেরকে বলে দিয়েছি পাকাপোল করে দিতে। পরবর্তীতে দ্রুত কার্লভার্টটি মেরামত করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন