শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

টায়ার পুড়িয়ে জ্বালানি তেল, হুমকিতে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ

হিলি (দিনাজপুর) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৯:৩২ এএম

দিনাজপুরের হাকিমপুরে টায়ার পুড়িয়ে তৈরী হচ্ছে জ্বালানি তেল। এতে একদিকে যেমন বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ। অন্যদিকে মরছে পশুপাখি, গাছপালা ও মাছ। স্থানীয়দের অভিযোগের পরও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অজ্ঞাত শক্তিতে চলছে এই টায়ার পোড়ানো কারখানা।

হাকিমপুর (হিলি) পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের ছাতনী চারমাথা থেকে রাঙ্গামাটিয়া সড়কের পাশের একটি টায়ার পোড়ানো কারখানা গড়ে উঠেছে। সেখানে দেদারছে পোড়ানো হচ্ছে টায়ার। সেই টায়ার পুড়তে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে কাঠ। এতে উজাড় হচ্ছে বনজও ফলজগাছ। টায়ার পোড়ানো যে কি পরিমাণ পরিবেশ ও মানুষের জন্য ক্ষতিকর তা মানুষের চোখ ফাঁকি দিতে দিনে টায়ার না পুড়িয়ে রাতেই কারখানাটিতে টায়ার পোড়ানো হচ্ছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, টায়ার পোড়ানো এই কারাখানার বিষাক্ত ধোঁয়ায় পরিবেশ মারাত্মক ভাবে দুষিত হচ্ছে। ফলে গাছ পালা দিন দিন মারা যাচ্ছে। এছাড়াও টায়ার পোড়ানোর উৎকট গন্ধের কারণে এলাকাবাসীর বসবাস প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

এলাকাবাসী জানায়, শতাধিক ভুক্তভোগী স্বাক্ষরিত হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন কিন্তু প্রতিকার হচ্ছেনা।

তরিকুল ইসলাম নামে এক ভুক্তভোগী জানান, ওই কারখানার পশের আমার এক একর জমি রয়েছে। টায়ার পোড়ানোর কারণে আমার জমিতে উৎপাদিত ধানের চালে এক ধরণের দুর্গন্ধ হয়। আর সেই চালের ভাত খাওয়া যায় না। বাধ্য হয়ে ধানগুলো বিক্রি করে বাজার থেকে চাল কিনতে হয়।

অভিযোগকারী হাসন্দর জামান জানান, টায়ার পোড়ানোর কারণে এলাকার ফল গাছ গুলোতে ফল ধরছে না।

মশিউর রহমান নামের অভিযোগকারী জানান, কারখানাটির বর্জ্য পাশের তুলসীগঙ্গা নদিতে যাওয়া নাদীর মাছ মারা যাচ্ছে।

মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম জানান, কারখানাটির পাশে আমার জমি রয়েছে। ওখানে টায়ার পোড়ানোর কারণে এক ধরণে দুগন্ধ সৃষ্টি হয়। ফলে আমার জমিতে কোন কৃষি শ্রমিক কাজ করতে চায়না। বাধ্য হয়ে অল্প টাকায় জমি বর্গা দিয়েছি।

এ বিষয়ে কারখানাটির মালিক দিপক কুমারের সাথে কথা বললে তিনি কোন বক্তব্য না দিয়ে জানান, আপনার কি সমস্যা সেটা বলেন, সমাধান করা হবে।

হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ নুর-এ আলম বলেন, অভিযোগ প্রেক্ষিতে কারখানাটিতে অভিযান চালিয়ে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এবং যেহেতু তাদের পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড় পত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে তাই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়া পত্র ছাড়া কারখানাটি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Md আলমগীর হোসেন ১ মার্চ, ২০২৩, ৮:৪৮ এএম says : 0
আপনার রিপোর্ট লেখার আগে জানা দরকার টায়ার পড়ায় না টায়ার ঘলানো হয় টাকা না দিলে,মিথ্যা খবর লিখে মানুষের ক্ষতি কেনো করেন, আপনি একজন খারাপ মানুষ
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন