নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপারে কার্যালয়ের পাশেই রয়েছে চাঁনমারী বস্তি। আর এই বস্তিতেই রাতদিন প্রকাশ্যে চলে গাজা বিক্রি। মঙ্গলবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকাল পাঁচটায় সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় প্রকাশ্যেই গাজা বিক্রি করছে এক যুবক ও এক কিশোর।
কিন্তু পাশেই দাড়িয়ে আছেন পুলিশের দুই কনস্টেবল। গাজা বিক্রেতা যুবকের নাম জানতে চাইলে সে জানায় তার নাম আকাশ, পিতার নাম মরণ চাঁন। মোবাইলে তার ছবি তোলা হলেও সে কোনো বাধা দেয়নি। বরং নির্বিকার দাড়িয়ে থেকে ছবি তুলতে দেন।
তার কাছে জানতে চাওয়া হয় এমন ব্যস্ত রাস্তায় প্রকাশ্যে ডেকে ডেকে গাজা বিক্রি করছেন। পুলিশ ধরে না। তার পরিষ্কার জবাব পুলিশকে টাকা দিয়েই গাজা বিক্রি করি এ সময় পাশে দাড়িয়ে থাকা দুই কনস্টেবলের কাছে গিয়ে জানতে চাওয়া হয়, আপনাদের সামনে দাড়িয়ে প্রকাশ্যেই গাজা বিক্রি করছে আপনারা তাদেরকে ধরছেন না কেন?
তারা জানান তারা দুইজন সিদ্ধিরগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে দায়িত্ব পালন করেন। একজন সাব ইন্সপেক্টর তাদেরকে এখানে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দিয়েছেন। গাজা বিক্রেতা ধরার নির্দেশ দেননি।
তখন তাদের ছবি তুলতে চাইলে তারাও কোনো বাধা দেননি। তবে তারা অনুরোধ করেন পত্রিকায় যেন তাদের নাম ও ছবি ছাপানো না হয়। কারণ তারা হুকুমের গোলাম। ঊর্ধ্বতন অফিসার যা বলবেন তাই করবেন তারা।
তারা আরো জানান এখানে মাঝে মাঝে মাদক বিক্রেতাদের গ্রেফতার করার জন্য অভিযান চালানো হয়। যখন অভিযান হবে তখন ধরবো।
কিন্তু তাদেরকে আরো প্রশ্ন করা হয় এভাবে আপনাদের সামনে ডেকে ডেকে মাদক বিক্রি করা হবে আর আপনারা তাদেরকে ধরবেন না এটা হতে পারে না। কিন্তু তারপরেও তাদের একটাই কথা উপর থেকে অর্ডার না এলে তারা কিছু করতে পারেন না।মূলত এভাবেই এখন মাদক ব্যবসায়ীরা আর পুলিশ মিলে এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন চাঁনমারী এলাকায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন