বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

চট্টগ্রাম বন্দরের প্রয়োজনেই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৫:২৭ পিএম

নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দরের প্রয়োজনেই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। উচ্ছেদ চলমান প্রক্রিয়া। গুটিকয়েক মানুষের জন্য বন্দরের সুনাম নষ্ট বরদাশত করা হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, লালদিয়ার চরের ভাড়াটিয়া দিয়ে যারা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড করেছে সেই স্বার্থান্বেষীদের তালিকা করা হয়েছে।বুধবার বিকেলে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের ব্রিফিং কালে তিনি এসব কথা বলেন।

নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর লাইফলাইন। বন্দরের আধুনিকায়নে অনেক প্রকল্প নিয়েছে সরকার। পিসিটির কাজ শেষ পর্যায়ে। পৃথিবীর কোনো বন্দরে এত গাড়ি চলে না। এত বস্তি নেই। এসব বিদেশিদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয়।

তিনি বলেন, কর্ণফুলীর পাড়ের উচ্ছেদের অগ্রগতি জানাতে মহামান্য আদালত বন্দর চেয়ারম্যানকে কোর্টে হাজির হতে বলেছিলেন। বিষয়টি সবাই জানেন। লালদিয়ায় অবৈধ স্থাপনা রাখার সুযোগ নেই। উচ্ছেদের বিপক্ষে যারা ইন্ধন দিয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনব।

খালিদ মাহমুদ বলেন, লালদিয়ার জায়গা বন্দরের কাজে লাগবে। একসময় সক্ষমতা না থাকায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে সুযোগ দেয়া হয়েছিল। বাংলাদেশ এখন ঈর্ষণীয় জায়গায় চলে গেছে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে। তাই ওই জায়গা কাউকে ইজারা বা লিজ দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, গৃহহীনদের পুনর্বাসন করব। যারা সচ্ছল তাদের পুনর্বাসনের সুযোগ নেই। এখন যারা আছে তারা ভাড়াটিয়া। যারা বন্দর এলাকার জমি ব্যবহার করছে তাদের তালিকা করা হচ্ছে।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কাউকে প্রভাবশালী মনে করছি না। সরকারই প্রভাবশালী। চট্টগ্রাম বন্দর আধুনিকায়ন হোক চট্টগ্রামবাসীও চায়। বন্দরের আধুনিকায়ন করতে চাইলে উচ্ছেদের বিকল্প নেই। স্বার্থান্বেষী মানুষ অর্থ আয় করছে। ভাড়াটিয়া দিয়েছে। তাদের চিহ্নিত করেছি।

বে টার্মিনাল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি পিপিপি মডেলে হচ্ছে। বন্দর ও দেশের স্বার্থ বিবেচনা করা হচ্ছে। ২০২৫ সাল টার্গেট নির্ধারণ করা আছে। বে টার্মিনাল হবে গ্রিন পোর্ট হবে।

এ সময় নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান, সদস্য মো. কামরুল আমিন, সচিব মো. ওমর ফারুক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন