শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

নিরাপদেই ক্রাইস্টচার্চে তামিমরা

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০১ এএম

দীর্ঘ ভ্রমণ শেষে নিউজিল্যান্ডে পৌঁছেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। গতকাল স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে তামিম ইকবাল-মাহমুদউল্লাহরা পা রেখেছেন ক্রাইস্টচার্চে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) খেলোয়াড়দের পৌঁছানোর খবর জানিয়েছে টুইটারে। এই ক্রাইস্টচার্চে সবশেষ সফরে ভয়াবহ এক স্মৃতি জড়িয়ে আছে তামিম-মাহমুদউল্লাহদের।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে আগের দিন বিকালে বিমানে চেপেছিল বাংলাদেশ দল। লম্বা বিরতি দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার পর করোনাকালে এটাই টাইগারদের প্রথম বিদেশ সফর। পৌঁছানোর পর টানা ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনের কড়া বিধিনিষেধ মানতে হবে বাংলাদেশের খেলোয়াড়-কর্মকর্তাসহ সবাইকে। ক্রাইস্টচার্চের অদূরে লিংকন ইউনিভার্সিটি হাই-পারফরম্যান্স সেন্টার থাকবেন তারা। কোয়ারেন্টিন পর্ব শেষ করে কুইন্সটাউনে পাঁচ দিনের প্রস্তুতি ক্যাম্প করবেন ক্রিকেটাররা। দীর্ঘ সময় হোটেলে বসে থাকতে থাকতে ক্রিকেটারদের যেন মানসিক অবসাদ না পেয়ে বসে এ জন্য দলের সঙ্গে গেছেন একজন চিকিৎসক।
কোভিডকালে প্রথম বিদেশ সফর। দেশের মধ্যে বায়ো বাবলে থাকার অভিজ্ঞতা থাকলেও, নিউজিল্যান্ডে গিয়ে বাংলাদেশের জন্য হবে নতুন এক অভিজ্ঞতা। কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে ১৪ দিন। যার প্রথম ৭ দিন ঘরবন্দি থাকবেন ক্রিকেটার- কোচিং স্টাফসহ সবাই, যা বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে সংশ্লিষ্ট সবার জন্যই। মানসিকভাবে ক্রিকেটারদের চাঙা রাখতে আগেই পরিকল্পনা করেছে বোর্ড। দলের বিদেশ সফরে এবার গেছেন বোর্ড পরিচালক জালাল ইউনুস। দেশ ছাড়ার আগে বিসিবি পরিচালক জানিয়েছেন তাদের পরিকল্পনা, ‘কোয়ারেন্টিনে ১৪ দিন থাকতে হবে। ৭ দিন ঘরবন্দি। এটা নিয়ে চিন্তিত। সঙ্গে চিকিৎসক থাকবে। ঘণ্টায় ঘণ্টায় খবর নেয়া হবে। মানসিকভাবে চাঙা রাখতে কাজ করবেন চিকিৎসক।’
কোয়ারেন্টিনের পরের সাত দিন অনুশীলনের সুযোগ পাবে বাংলাদেশ দল। মাঠের লড়াইয়ে নামার আগে স্থানীয় দলের সঙ্গে খেলবে প্রস্তুতি ম্যাচও। তবে নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশের অতীত অভিজ্ঞতা ভালো না। সঙ্গে কোয়ারেন্টিন বিধিনিষেধ। সব মিলিয়ে কঠিন এক সফর অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের জন্য। জালাল ইউনুস আরও বলেন, ‘মানসিকভাবে কিছুটা চাপে থেকেই সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। অনুশীলন সেশনগুলো গুরুত্বপূর্ণ।’
ডানেডিনে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে আগামী ২০ মার্চ মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ২৩ মার্চ দ্বিতীয় ওয়ানডে ক্রাইস্টচার্চে। ওয়েলিংটনে শেষ ওয়ানডে হবে ২৬ মার্চ। এরপর হ্যামিল্টনে ২৮ মার্চ হবে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। ৩০ মার্চ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি হবে নেপিয়ারে। অকল্যান্ডে শেষ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ১ এপ্রিল।
কোনো সংস্করণের ক্রিকেটেই নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তাদের বিপক্ষে জয় নেই বাংলাদেশের। কিউইদের সঙ্গে ১৩ ওয়ানডে ও চারটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে প্রতিবারই কপালে জুটেছে হার। সঙ্গে সাম্প্রতিক উইন্ডিজ ব্যর্থতা। সিরিজে ভরাডুবির পর সমালোচনার কাঠগড়ায় ক্রিকেটাররা। তবে কিভাবে আবার সমর্থক-বোর্ডের ভরসা অর্জন করতে হবে তার ছক নিশ্চয়ই একে রেখেছেন তামিম-মুশফিক-মিরাজরা। সেই সিরিজের ফলাফল নিজেদের মানসপট থেকে সরিয়েই মাঠে নামতে চায় বাংলাদেশ। দেশ ছাড়ার আগে ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম শোনান হতাশার বৃত্ত ভাঙার আশার বাণী, ‘নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশন বরাবরই আমাদের জন্য কঠিন। তবে অসম্ভব কিছুই না। নিউজিল্যান্ডে আমরা যা কোনোদিন অর্জন করতে পারিনি, চেষ্টা করব এবার যেন সেটা বদল করতে পারি। আমরা আশাবাদী।’
নিউজিল্যান্ড সফরের বাংলাদেশ স্কোয়াড : তামিম ইকবাল খান, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, লিটন কুমার দাস, মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন ধ্রুব, সৌম্য সরকার, নাঈম শেখ, তাসকিন আহমেদ, আল-আমিন হোসেন, শরিফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, রুবেল হোসেন, শেখ মেহেদী হাসান ও নাসুম আহমেদ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন