সেনবাগ পৌরসভা ভবন নির্মাণ, ১২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, ওয়াটটার সুপারের কার্যালয়, বাস ভবন নির্মাণ ও রাস্তাঘাট উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে অধিগ্রহনকৃত ভূমির মালিকরা অযাচিত ভাবে বাধা প্রদান সহ নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মেয়র আবু জাফর টিপু।
সেনবাগ বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আমান উল্লার সভপতিত্বে বুধবার দুপুরে পৌর কার্যালয় প্রাঙ্গনে এক জনাকীর্ণ সাংবাদিক সম্মেলনে সেনবাগ পৌর মেয়র টিপু এক লিখিত বক্তব্যে ওই সব অভিযোগ তুলে ধরেন। তিনি বলেন ২০০২ সনে পৌর সভা প্রতিষ্ঠার পর থেকে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে অদ্যবধি প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক কার্যক্রম চালাতে গিয়ে প্রতিনিয়ত হিমশিম খেতে হচ্ছে। পৌর সভার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মরহুম শাহ আলম চৌধুরী ২০০৩ সনে প্রথম পৌর ভবন নির্মানের উদ্যোগ নিলে জেলা প্রশাসন ১ একর ৫৭ শতাংশ ভূমি অধিগ্রহন করে। পৌর ভবন নির্মান সহ প্রকল্প গুলো বাস্তবায়নের লক্ষে দরপত্র আহবান এর কাজ ইতিমধ্যে গ্রহন করা হয়েছে। পৌরভবন নির্মানের জন্য প্রশাসনিক অনুমোদনের পর জেলা হুকুম দখল ও ভূমি বরাদ্ধ কমিটির সিদ্ধান্তে অধিগ্রহনকৃত জমির মূল্য বাবদ ০৮-০৮-২০০৪ ইং জেলা প্রশাসক নোয়াখালীর হিসাব খাতে ক্রস চেকের মাধ্যমে ১৩ লক্ষ ৯৩ হাজার ৪০৫ টাকা ৩৫ পয়সা পরিশোধ করা হয়েছে।
বিগত ২৫-১০-২০০৪ ইং জেলা প্রশাসক তৎকালীন পৌর চেয়ারম্যানের নিকট উক্ত ভূমি হস্তান্তর করে মালিকদেরকে জমির মূল্য বুঝে নেয়ার জন্য পত্র প্রেরন করেন। ওই সময় মালিকরা জমির মূল্য গ্রহন না করে নোয়াখালী যুগ্ম জেলা জজ আদালতে দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন। ২০০৫ ইং সনে মামলাটি মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে স্থানান্তরিত হয়।
মেয়র টিপু পৌর এলাকার নাগরিকদের কল্যানে উন্নয়ন প্রকল্প গুলো বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসন, থানা প্রশাসন, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সহ সর্ব সাধারনের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি আরো জানান এতদ বিষয়ে মহামান্য হাইকোর্টের কোন স্থগিতাদেশ বা নিষেধাজ্ঞা নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন