প্রশ্ন : কোনো ব্যক্তি যদি এশার নামাজ রাত ১২টার পরে আদায় করেন তাহলে তার নামাজ শুদ্ধ হবে কি? দুই সিজদার মাঝখানে কতক্ষণ সময় ক্ষেপণ করা ওয়াজিব?
উত্তর : রাতের ভেতর চারটি প্রহর থাকে। ধরে নিন, চার ঘণ্টা করে।
প্রথম প্রহরের এশা পড়া উত্তম। দ্বিতীয় প্রহর পার হয়ে গেলে মাকরূহ ওয়াক্ত এসে যায়। তবে এমনিতে কোনো উজর বশতঃ ফজর হওয়ার আগ পর্যন্তই এশা পড়া যায়। দুই সেজদার মাঝখানে বসার নির্দিষ্ট সময় নেই। তবে বিভিন্ন হাদিসের আলোকে বোঝা যায়, কিছুক্ষণ সোজা হয়ে বসতে হবে।
যেন শরীরের রক্ত ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সেজদায় উঠা-নামার নড়াচড়া শেষে শান্ত হতে পারে। কিছু দোয়া হাদিসে আছে, সেগুলো পড়লে যতক্ষণ লাগে ততক্ষণ বসলেও চলে। তবে ন্যূনতম বসা বলতে যা বোঝায় তা পরিপূর্ণ হলেই পরের সেজদায় যাওয়া যাবে।
প্রশ্ন : অজু ছাড়া কি মোবাইলে কোরআন তেলাওয়াত করা যাবে বা কোরআনের বিভিন্ন আয়াতের অনুবাদ দেখা যাবে? তাছাড়া আমরা অনেকেই মোবাইলে একই সাথে কোরআন তেলাওয়াত শুনি, গজলও শুনি আবার গানও শুনি।
মাত্রই গান শুনলাম, আবার এখনই গান বন্ধ করে তেলাওয়াত চালিয়ে দিলাম। এটা কি গুনাহের কাজ নয়?
উত্তর : অজু ছাড়া কোরআন তেলাওয়াত ও তরজমা পড়া যায়েজ। প্রশ্ন হলো, স্পর্শ করা নিয়ে। মোবাইলে যে কোরআন থাকে তা মুদ্রিত নয়। এটি আলোর মাধ্যমে প্রকাশিত কিছু ডট মাত্র।
আয়াতের ওপর স্পর্শ না করে, অজু ছাড়া মোবাইলটি হাতে রেখেও তেলাওয়াত করা যায়েজ। একই মোবাইলে সওয়াবের কিছু করলে সওয়াব হবে। গোনাহর কিছু করলে গোনাহ হবে।
এগুলো একটি যন্ত্রে সম্মিলিত হয়েছে বলে সবই গোনাহয় পরিণত হবে না। যেমন মানুষের মন-মস্তিস্কে বা মুখে যদি সে খারাপ বিষয় চর্চা করে অতঃপর তা বন্ধ করে ওই মুহূর্তেই সে ভালো বিষয় চর্চা করে তাহলে কি তার গোনাহ ও সওয়াব দু’টোই হবে না। ধরে নিন, একটি যন্ত্রও প্রায় তেমনিই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন