টেকনাফ (কক্সবাজার) উপজেলা সংবাদদাতা : মিয়ানমারের কারাগারে বিভিন্ন মেয়াদের কারাভোগের পর ৩ জন বাংলাদেশীকে ফেরত পাঠিয়েছে বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)। এরা সবাই সাগরপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়াগামী যাত্রী। তারা অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করায় আটক হয়েছিল। মিয়ানমানমারের অভ্যন্তরে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি-বিজিপি পর্যায়ে মংডুস্থ ১ নং পয়েন্ট অব এন্ট্রি এন্ড এক্সিট এলাকায় বৈঠক শেষে তাদের ফেরত আনা হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় থেকে ঘন্টাব্যাপী পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। ২ বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর আবু রাসেল ছিদ্দিকী সাথে ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহিদ ইকবাল, পুলিশের এডিআইও মাজাহারুল হক ও মিয়ানমারের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন জেলা অফিসার সহকারী পরিচালক ইউ মউ মাইন এনউএ। এদিকে সকাল পৌনে ১২টায় সদর বিওপির মিলনায়তনে ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর আবু রাসেল ছিদ্দিকী সংবাদ সম্মেলনে জানান, মিয়ানমারের সাথে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ এবং আন্তরিক পরিবেশে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় মানব ও মাদকপাচারসহ সীমান্তে বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোচনা হয়েছে। তিনি আরো জানান, মিয়ানমারের কারাগারে বর্তমানে কতজন বাংলাদেশী নাগরিক এবং সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার সংখ্যা সম্পর্কে মিয়ানমার কোন তথ্য সরবরাহ করেনি। তবে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাদেরকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। মিয়ানমারের কারাগারে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগের পর ফেরত আসা বাংলাদেশীরা হচ্ছে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানার লেদার মো: সুলতান আহমদের মো: সালেহ আহমেদ, উখিয়া থানার দরগাহ বিল হাতিমোড়ার মো: কালুর ছেলে আবু কালাম ও বরগুনা জেলার তালতলা থানার সুলাপাড়া গ্রামের সানু গাজীর ছেলে মো: আবদুর রব গাজী। ফেরত আসা টেকনাফের লেদা গ্রামের মোঃ সালেহ আহমদ জানান, নাফনদীতে মাছ শিকারে গিয়ে তৎকালীন নাসাকার হাতে আটক হয়ে দীর্ঘ ৪ বছর ৫ মাস কারাভোগ করেছে। তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিজিবি প্রচেষ্টায় দেশে ফিরতে পারায় সন্তুষ্টি এবং বিজিবিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তারমত আরও শতশত বাংলাদেশী নাগরিক মিয়ানমারের কারাগারে মুক্তির প্রহর গুনছে। সে দেশের কারাগারে অমানুষিক যন্ত্রণা ভোগ করছে। বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ যোগাযোগ এবং তৎপরতার অভাবে তারা দেশে ফিরতে পারছেনা বলে দাবী করেন। তাছাড়া ফেরত আসা মালয়েশিয়াগামী যাত্রী আবু কালাম জানান, ২০১১ সালের ৮০ জন মালয়েশীয়াগামী যাত্রী বোঝাই টেকনাফের কাটাবনিয়া ঘাট থেকে রওয়ানা দিয়ে মিয়ানমারের আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে আটক হয়েছিল। ৩৬ মাস মাস কারাভোগের পর তাদের দলের ১১ জন ফেরত আসলেও বাকীদের ব্যাপারে তারা কিছুই জানে না।
মানব পাচারকারী আটক
টেকনাফে মোঃ সেলিম (৩৭) নামে একজন মানব পাচারকারীকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত সেলিম টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়নের নোয়াখালী পাড়া এলাকার মোঃ কাশিম ওরফে আবুল কাশেমের ছেলে। জানা যায়, গতকাল রোববার ভোরে বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত এএসআই মাসুমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গোপন সংবাদে উপকূলীয় ইউনিয়ন বাহারছড়া নোয়াখালী পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন