শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

পাহাড়ি ছোট্ট শিশু মঙ্গোলীওর জন্য সেনাবাহিনীর মানবিকতা

সুচিকিৎসায় হেলিকপ্টারে নেয়া হলো চট্টগ্রামে

বিশেষ প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০০ এএম

পার্বত্য বান্দরবানের চিম্বুকপাড়ার জঙ্গলে ভাল্লুকের আক্রমণে গুরুতর আহত হয় ছোট্ট শিশু মঙ্গোলীও (৬) এবং ইয়াং ওয়াই (৪৮) নামের দু’জন মুরং উপজাতি। জরুরি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে গতকাল শুক্রবার দুপুরে দুর্গম পাহাড়ি গ্রাম থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ২৪ পদাতিক ডিভিশনের উদ্যোগে সশস্ত্রবাহিনী বিভাগের সহায়তায় বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার যোগে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে আনা হয়। সেনাবাহিনীর এহেন মানবিক সেবা-সাহায্যে কৃতজ্ঞ মঙ্গোলীও’র পরিবার ও পাড়া-প্রতিবেশীগণ।
আহত মঙ্গোলীও মুরংয়ের বাবা রিং রাং রাও মুরং (৩২) জানান, শিশুটি চিম্বুকপাড়া জঙ্গলের পাশে খেলছিল। হঠাৎ এক হিংস্র ভাল্লুক আক্রমণ করে। শিশুটিকে বাঁচাতে ছুটে আসে দাদা ইয়ং ওয়াই মুরং (৪৮)। তখন ভাল্লুকটি দু’জনকেই মারাত্মক আহত করে। এরপরই আহতদের বান্দরবান রিজিয়নের আওতাধীন নিকটস্থ সেনাক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়।
চট্টগ্রাম সেনানিবাসের ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি তৎক্ষণাৎ আহত দু’জনকে সুচিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে আসার নির্দেশ দেন। বেলা আড়াইটার দিকে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার যোগে আনা হয় সেনানিবাসে। পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর সহায়তায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে চলছে তাদের চিকিৎসা।
আহত শিশু মঙ্গোলীও’র বাবা রিং রাং রাও মুরং বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর মানবিক কর্মকান্ডে পাহাড়ের দুর্গম জনপদের মানুষগুলো নতুনভাবে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখছে। যেসব গ্রামে তাদের বসবাস করেন সেখান থেকে সড়কপথে যেতে হলে টানা ৫ ঘন্টা পায়ে হেঁটে যেতে হয়। ঝিরি-ঝরণা, খাল ও গিরিপথ পারি দিতে হয় তাদের। জীবিকার তাগিদে পাহাড়ি জনপদে বসবাস করছেন।
ইতিপূর্বেও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও বিজিবির যৌথ প্রচেষ্টায় গত ৩১ এপ্রিল-২০২০ সোনাপতি চাকমা এবং ২৯ ডিসেম্বর-২০২০ জতনী তঞ্চংগ্যা নামে দু’জন মৃত্যুপথযাত্রী উপজাতি প্রসূতিকে হেলিকপ্টার যোগে চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নিয়ে চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়। পরে তারা সুস্থ ফুটফুটে শিশু নিয়ে বাড়ি ফেরেন। বেঁচে যায় দুই নবজাতক ও মায়ের জীবন। আর্তমানবতার সেবায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রয়াস ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (3)
গাজী মোহাম্মদ শাহপরান ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৯:৩১ এএম says : 0
সেনাবাহিনীকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Total Reply(0)
মোহাম্মদ কাজী নুর আলম ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৯:৩১ এএম says : 0
এতকিছু করার পরেও পাহাড়ের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সেনাবহিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচারে লিপ্ত।
Total Reply(0)
মেহেদী ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৯:৩২ এএম says : 0
এটাই বাংলাদেশের সেনাবাহিনী, গর্বের সেনাবাহিনী।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন