রংপুরের বদরগঞ্জে গলাকেটে মেয়েকে হত্যার ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন মা নুরনাহার বেগম। আজ শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বদরগঞ্জ আমলি আদালত-৪ এর বিজ্ঞ বিচারক আল-মেহবুব তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
জানা গেছে, বদরগঞ্জ থানা পুলিশ শুক্রবার রাতে উপজেলার বিষ্ণপুর ইউনিয়নের বুজরুক হাজিপুর এলাকার মেনহাজুল মিয়ার বাড়ি থেকে তার মাদ্রাসা পড়–য়া মেয়ে মাহবুবা আক্তার মেরির লাশ গলাকাটা অবস্থায় শোয়ার ঘর থেকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় তার চাচা জিয়াউর রহমান অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিদের আসামীদের নামে থানায় মামলা করেন। এ সময় মেরির মা নুরনাহার পুলিশকে জানায়, ‘শোয়ার ঘরে মেয়ের চিৎকার শুনে সেখানে গিয়ে দেখি গলা দিয়ে রক্ত ঝরছে। কিছুক্ষণ পর মেয়েটা নিস্তেজ হয়ে যায়। আমার মেয়ের মৃগী, রোগের কারণে ছোট বেলা থেকে অসুস্থ। এ কারণে সে আত্মহত্যা করতে পারে।’ পরে পুলিশের সন্দেহ হলে মেরির বাবা মেনহাজুল ও মা নুর নাহারকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে তাদের আদালতে তোলা হলে মেরির মা আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
আদালত সুত্রে জানা গেছে, নুর নাহার আদালতে স্বীকার করেছেন যে মেরি যখন এশার নামাজ পড়ছিল, তখন তিনি পিছন থেকে এসে গলায় ছুরি মারেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বদরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরিফ আলী বলেন, ‘মেয়েটি দীর্ঘদিন ধরে মৃগীরোগে ভুগছিল। অনেকের ধারণা পারিবারিক অশান্তির কারণে তাকে কৌশলে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি নিখুঁতভাবে তদন্ত করছি। তবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মেয়েকে গলাকেটে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন নুরনাহার বেগম। তাকে আদালতে হাজির করা হলে তিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন