আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত দু’দিন ব্যাপী তাবলীগী ইজতেমার শেষ দিনের ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব বলেন, ইজতেমায় নিম্নোক্ত দাবি সমূহ সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।
পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে দেশের আইন ও শাসন ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে হবে। মানুষের রক্তচোষা সুদভিত্তিক পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থা বাতিল করে অনতিবিলম্বে ইসলামী অর্থনীতি চালু করতে হবে এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সুদী এনজিও ও মহাজনী দাদন প্রথা এবং সেই সাথে অফিস-আদালত থেকে ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। দেশের বিভিন্ন শহরে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইসলামী আক্বীদা ও সংস্কৃতি বিরোধী মূর্তি-ভাস্কর্য ও শহীদ মিনার নির্মাণ অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য এই সম্মেলন সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছে। জঙ্গীবাদের মূলোৎপাটন এবং সামাজিক অনাচার সমূহ প্রতিরোধের জন্য শিক্ষার সর্বস্তরে বিশুদ্ধ ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। মাদরাসা ও স্কুল-কলেজের সিলেবাস থেকে ডারউইনের নাস্তিক্যবাদী বিবর্তনবাদসহ সকল প্রকার ইসলাম বিরোধী মতবাদ প্রত্যাহার করার জোরালো দাবি জানাচ্ছে।
যুব সমাজের নৈতিক অবক্ষয় রোধে মদ-জুয়ার অবাধ সয়লাব রোধ করতে হবে এবং ইন্টারনেটের অশ্লীল ওয়েবসাইট সমূহ স¤পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে। কাশ্মীর, ফিলিস্তীন, মিয়ানমার ও চীনের উইঘুর সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলমানদের উপর নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে এ সম্মেলন তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে এবং এর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এ সম্মেলন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছে। এ সম্মেলন করোনার কারণে দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ হয়ে থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক অবিলম্বে খুলে দিয়ে শিক্ষার্থীদের স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে ফিরিয়ে আনার জোর দাবি জানাচ্ছে। এ সম্মেলন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখার উদ্দেশ্যে অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট বন্ধ করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানানো হয়। উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার বিকাল চারটায় ইজতেমার কার্যক্রম শুরু হয়ে গতকাল শনিবার বাদ ফজর শেষ হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন