শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

করোনায় বীমা মেলা বাতিল, বীমা দিবস উদযাপিত হবে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ মার্চ, ২০২১, ১২:০২ এএম

করোনা মহামারি বিবেচনায় আগামী ১ ও ২ মার্চ বঙ্গবন্ধু বীমা মেলা- ২০২১ বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান ড. এম মোশাররফ। তিনি বলেন, আগামী ১ মার্চ সোমবার সারাদেশে দ্বিতীয়বারের মতো পালিত হবে জাতীয় বীমা দিবস। গতকাল শনিবার বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিআইএ’র প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেন (ভার্চুয়ালি), অতিরিক্ত সচিব আবদুল্লাহ হারুন বাশার, বিআইএফ’র প্রেসিডেন্ট বি এম ইউসুফ আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ড. এম মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকার নিজস্ব অর্থায়নে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা চালু করতে যাচ্ছে। জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিতে ১৬ লাখের বেশি প্রতিবন্ধী শিশুকে বীমার আওতায় আনার উদ্যোগ হিসেবে সরকার চালু করতে যাচ্ছে স্বাস্থ্যবীমা। বঙ্গবন্ধু ক্রিড়া প্রেমী ছিলেন, তাই তার প্রতি সম্মান জানাতে বঙ্গবন্ধু স্পোর্টসম্যান ইন্স্যুরেন্স চালু করা হয়েছে। এ ছাড়াও চালু করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু সুরক্ষা বীমা।
এ সময়ে বীমার ভ‚মিকার বিষয়ে আইডিআরএ চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের দেশে জীবন বীমাখাতে বীমা বাধ্যতামূলক করা হয় নাই। এ কারণে বীমার উপকারীতা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা কম।। আমি সরকার ও নীতি নির্ধারকদের কাছে আবেদন জানাবো জীবন বীমাখাতে যাতে কোন একটি প্রডাক্ট বাধ্যতামূলক করা হয়।
ড. মোশাররফ বলেন, একটি পরিবারে একটি পলিসি করা থাকলে সে পরিবারের আর্র্থিক নিরাপত্তা নিশ্চত করা যায়। কিন্তু আমরা সে গুরুত্বটি এখানো বুঝতে পারি নাই। অনেক পরিবার আছে অসুস্থতা বা দুঘটনায় পরিবারের একজন সদস্য মারা গেলে গোটা পরিবারই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেক পরিবারে আছে যারা একেবারে নিঃস্ব হয়ে যায়। তাদের পাশে দাঁড়ানোর একমাত্র মাধ্যম বীমা। এ দিকটি আমোদের বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে ভাবা উচিত।
তিনি বলেন, শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। একটি শিক্ষিত জাতি একটি উন্নত দেশ।আমাদের দেশে অনেক শিশু আছে যারা আর্থিকভাবে সামর্থ না থাকার কারণে তারা পড়াশোনা করতে পারে না। অঙ্কুরেই শিশুটির ভবিষ্যৎ শেষ হয়ে যায়। তাদের স্বার্থে, দেশের উন্নয়নের স্বার্থে সরকার নিজস্ব অর্থায়নে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা চালু করেছে সরকার।
বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন (বিআইএ)’র প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেন বলেন, যে দেশের বীমাখাত যতো শক্তিশালী সে দেশের অর্থনীতি ততো শক্তিশালী –এটা প্রথম বুঝতে পেরেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর তাই তিনি দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই বীমাখাতের উন্নয়নে সংস্কারে হাত দেন।
শেখ কবির হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু বীমাখাতের সাথে যেভাবে জড়িত, অর্থনীতির আর কোন খাতের সাথে এতো বেশি সম্পৃক্ততা তার নেই। তিনি বীমা পেশার মাধ্যমে তার সংগ্রামী কর্মকান্ড চালিয়েছেন। তাই দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বীমারখাতের বিশেষ অবদান রয়েছে। বঙ্গবন্ধু প্রথম উপলব্ধি করেন, দেশের উন্নয়ন করতে হলে বীমার উন্নয়ন করতে হবে। তাই তিনি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই জীবন বীমা করপোরেশন ও সাধারণ বীমা করপোরেশন নামে সরকারি ২টি প্রতিষ্ঠান করেন। বিআইএ প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, যে ঐতিহাসিক মাসে দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়েছে। সেই মাসের ১ম দিনটি আমরা বীমা দিবস হিসেবে পেয়েছি। এটা আমাদের জন্য গর্বের। এ জন্য আমাদের দায়িত্বও অনেক। আমি বীমা মালিক ও বীমা পেশাজীবীদের আহবান করবো অর্থনেতিক উন্নয়নে সেবার মানসিকতা নিয়ে কাজ করুন। আসুন আমরা বীমার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাই।
উল্লেখ্য, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬০ সালের ১ মার্চ আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে যোগদান করেন। বীমা পেশায় তার যোগদানের দিনটিকে স্মরণে রাখতে বাংলাদেশ সরকার ১ মার্চকে জাতীয় বীমা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। ২০২০ সালের ১ মার্চ রোববার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বীমা দিবস উদ্বোধন করা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন