ভোলার দৌলতখানে সাথী (২৪) নামে এক গৃহবধূকে শ্বশুরবাড়িতে বেধরক পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের কলাকোপা গ্রামের সরকার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল রোববার সকালে স্থানীয়রা গৃহবধূকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
আহত গৃহবধূ জানায়, ৭ বছর আগে চরখলিফা ইউনিয়নের কলাকোপা গ্রামের সরকার বাড়ির মৃত হোসেনের ছেলে ইলিয়াছের সাথে প্রেমের সম্পর্কের পর পারিবারিকভাবে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এরই মধ্যে তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ের জন্ম হয়। অভাব অনটনের কারণে স্বামী ইলিয়াস হোসেন ঢাকায় শ্রমিকের কাজ করেন। সংসারের বেহাল অবস্থার কারণে সে নিজেও বাড়িতে গরু পালন ও চাষাবাদের কাজ করে। স্বামীর অবর্তমানে নানা অযুহাতে ভাসুর মো. জব্বার হোসেন প্রায়ই তাকে মারধর করতো। ভাসুর জব্বার বিভিন্ন সময় তাকে শারীরিক সম্পর্কে জড়ানোর জন্য কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। ভাসুরের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মিথ্যা অপবাদ দিয়ে গত শনিবার রাতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে তাকে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এতে তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম হয়। বর্তমানে ওই গৃহবধূ দৌলতখান হাসপাাতলে চিকিৎসাধীন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জব্বার হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন।
দৌলতখান থানার ওসি মো. বজলার রহমান জানান, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন