শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

মিয়ানমার রক্তাক্ত, গুলি-সহিংসতায় নিহত ১৮, গ্রেফতার পাঁচ শতাধিক

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১০:৩৩ পিএম

মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে তিন সপ্তাহ ধরে চলমান বিক্ষোভ দমনে এবার সবচেয়ে বড় ধরপাকড় অভিযান শুরু করেছে সে দেশের পুলিশ বাহিনী। দেশটিতে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে গুলি ও সহিংসতায় অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছেন। আজ রোববার দেশটির বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সেনা অভ্যুত্থানবিরোধীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। পাঁচ শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। বিক্ষোভ দমনে রাস্তায় নেমেছেন সেনাসদস্যরাও।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে,  অভিযানে পুলিশের গুলিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৮ জনে দাঁড়িয়েছে। ইয়াঙ্গুনে বিক্ষোভকারীরা দাঙ্গা পুলিশের সদস্যদের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় বিক্ষোভকারীদের ঢাল ব্যবহার করতে দেখা যায়। খবর রয়টার্সের।
দেশটিতে ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের পর শুরু হওয়া বিক্ষোভে এক দিনে নিহতের সংখ্যা এটাই সর্বোচ্চ। এর আগে গতকাল শনিবার পর্যন্ত নিহত হয়েছিলেন তিনজন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানানো হয়, আজ রোববার দেশটির বিভিন্ন স্থানে কারাবন্দী অং সান সু চির মুক্তি এবং সেনাশাসনের অবসানের দাবিতে বিক্ষোভে অংশ নিতে রাস্তায় নেমে আসেন হাজারো মানুষ। বিক্ষোভ ঠেকাতে সকাল থেকেই পুলিশ ছিল মারমুখী। মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় শহর ইয়াঙ্গুনে বিক্ষোভকারীদের ওপর প্রথমে স্টান গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে পুলিশ। এতেও বিক্ষোভকারীদের দমানো না গেলে গুলি চালায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
হাসপাতাল সূত্র ও স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, আজ দাওয়েই, ইয়াঙ্গুন ও মান্দালয় শহরে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি ছুড়েছে নিরাপত্তা বাহিনী।
এর আগে ২০ ফেব্রুয়ারি দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ে বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশ গুলি চালালে দুজন নিহত হন। এক দিন আগেই ১৯ ফেব্রুয়ারি জান্তা শাসনবিরোধী এই বিক্ষোভে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। মিয়া থোতে থোতে খায়ং (২০) নামের একজন বিক্ষোভকারী রাজধানী নেপিডোর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ৯ ফেব্রুয়ারি তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন।
পুলিশ ইয়াঙ্গন মেডিকেল স্কুলের সামনেও স্টান গ্রেনেড ছুড়েছে। এতে সেখানে অবস্থানরত সাদা এপ্রোন পরা চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন। এখান থেকে পুলিশ ৫০ জনেরও বেশি মেডিকেল কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে বলে আন্দোলনকারী একটি গোষ্ঠী জানিয়েছে।
রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) সরকারের পতন ঘটায় সেনাবাহিনী। গ্রেপ্তার করা হয় সু চিসহ এনএলডির শীর্ষ নেতাদের। এরপর থেকেই মিয়ানমারজুড়ে অস্থিরতা চলছে। সূত্র : রয়টার্স, বিবিসি, আল জাজিরা

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন