দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চেয়ারম্যান-কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত বাছাই কমিটির বৈঠক শুরু হয়েছে। কমিটির সভাপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে বিকেল ৩ টায় এ বৈঠক শুরু হয়। সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে বৈঠকটি চলছে বলে জানা গেছে। এটি কমিটির তৃতীয় বৈঠক।
বৈঠক সূত্র জানায়, আজ (সোমবার)র বৈঠক থেকেই চূড়ান্ত হতে পারে সম্ভাব্য নামের তালিকা। এ তালিকা থেকেই নিয়োগ দানের লক্ষ্যে প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠানো হতে পারে।
এর আগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি কমিটির দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ৪ ফেব্রুয়ারি। দুই বৈঠকের ধারাবাহিকতায় আজ শুরু হয়েছে তৃতীয় বৈঠক। বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে চলমান বৈঠকে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এম.ইনায়েতুর রহিম, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন অংশ নিয়েছেন। কমিটির সদস্য হিসেবে এতে সাচিবিক দায়িত্ব পালন করছেন অবসরপ্রাপ্ত মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন ভুইঞা।
বৈঠক সূত্র জানায়, বিগত বৈঠকে বিভিন্ন উৎস থেকে আসা অন্তত: ১৯ জনের নাম ও তাদেও জীবনবৃত্তান্ত উপস্থাপন করেন মোহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন ভুইঞা। এর মধ্যে একডজনের বেশি অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব এবং সচিবের নাম ও জীবন বৃত্তান্ত জমা পড়েছে । অবসরপ্রাপ্ত বিচারকের নাম-বায়োডাটা এসেছে ৩ জনের। অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব,সচিবের মধ্যে মো. সিরাজুল হক খান, পাট ও বস্ত্রমন্ত্রণালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সচিব মো.ফয়জুর রহমান চৌধুরী, বিমান মন্ত্রণালয় থেকে অবসরে যাওয়া সিনিয়র সচিব মো.মহিবুল হক, সিনিয়র সচিব হিসেবে দুদক থেকে অবসরে যাওয়া মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত, ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে অবসরে যাওয়া মো. সিরাজউদ্দিন আহমেদেও নাম-বায়োডাটা উপস্থাপন করেন কমিটি সচিব। অবসরপ্রাপ্ত বিচারকদের মধ্যে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর অবসরপ্রাপ্ত বিচারক মো. দলিল উদ্দিন (বর্তমানে একটি কমিশনে কর্মরত),অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ মো. আবদুল মজিদ,হাইকোর্টের সাবেক রেজিস্ট্রার সামছুল ইসলামের নাম উপস্থাপিত হয়। তবে পুলিশ বাহিনী কিংবা সামরিক বাহিনীর কোনো কর্মকর্তার নাম কমিটি সচিবের উপস্থাপনায় আসেনি। আজকের সভায় আরও কিছু নতুন নাম নিয়ে আলোচনা চলছে বলে জানা গেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ( বিকেল সাড়ে ৩ টা) বাছাই কমিটির বৈঠক চলছে।
উল্লেখ্য আগামি ১৩ মার্চ দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ এবং কমিশনার এএফএম আমিনুল ইসলাম মেয়াদ পূর্ণ করে বিদায় নিচ্ছেন। ১০ মার্চ তাদের শেষ কর্মদিবস। ওই দিন থেকেই কার্যত এ দু’টি পদ শূণ্য হচ্ছে। শূণ্য পদ পূরণে ‘উপযুক্ত ব্যক্তি’ বাছাইয়েদুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ৭(১) ধারা অনুযায়ী ‘বাছাই কমিটি’ গঠিত হয়। গত ২৮ জানুয়ারি গঠিত এ কমিটি ইতিমধ্যে দু’টি বৈঠক করেছে। এ কমিটি প্রতিটি শূন্য পদের বিপরীতে দুদক আইনের ৬ ধারা অনুযায়ী দুই জন ব্যক্তির নামের তালিকা প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠাবেন। প্রেসিডেন্ট এর মধ্য থেকে দু’জনকে শূন্য পদে প্রথমে কমিশনার পরে তাদের মধ্য থেকে একজনকে দুদক চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেবেন। দুদক আইনের ৮(১) ধারা অনুযায়ী আইনে, শিক্ষায়, প্রশাসনে, বিচারে বা শৃঙ্খলা বাহিনীতে অন্যুন ২০ (বিশ) বৎসরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কোন ব্যক্তি ‘কমিশনার হইবার যোগ্য’ বিবেচিত হবেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন