সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচক বেড়েছে। সূচকের পাশাপাশি দুই বাজারেই লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। তবে ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। অবশ্য সিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে।
গতকাল লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১২৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে পতনের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ১০৫টি। আর ১১৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ায় ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২২ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৪২৬ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ১২ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৬৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক ৬ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২২৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
মূল্য সূচকের উত্থান হলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৬১৮ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৬৬০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। সেই হিসাবে লেনেদেন কমেছে ৪২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ৯৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো ৬২ কোটি ৬৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৪১ কোটি ৩১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে রবি।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, জিবিবি পাওয়ার, বেক্সিমকো ফার্মা, ওরিয়ন ফার্মা, সামিট পাওয়ার, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস এবং লাফার্জহোলসিম।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৮৩ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৫ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২২৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯৭টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৫৭টির এবং ৭২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন