বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

প্রশাসনের নজর এড়িয়ে ক্ষেতলালে কৃষি জমিতে পুকুর খনন ও সংস্কারের নামে বালু উত্তোলন

হুমকি মুখে পাকা রাস্তা ও আবাদি জমি

জয়পুরহাট জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২ মার্চ, ২০২১, ১২:২২ পিএম

প্রশাসনের নজর এড়িয়ে জাতীয় ভূমি ব্যবহার নীতিমালা উপেক্ষা করে জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে নির্বিঘেœ উর্ব্বর ফসলি কৃষি জমিতে পুকুর খনন এবং সংস্কারের নামে বালু উত্তোলন করছে । ফলে হুমকির মুখে পুকুরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া পাকা রাস্তা ও আবাদি জমি। এ ব্যবসা জড়িত এক শ্রেণীর প্রভাবশালী ভুমি ও এস্কেভেটর মালিক বিভিন্ন মহলে মোটা অংকের মাশুহারা দিয়ে মাটি এবং বালু বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, অপরিকল্পিত ভাবে কৃষি জমি ভরাট, পুকুর খনন, পুরাতন পুকুরের তলদেশ থেকে ১০ থেকে ২০ ফুট গভীর করে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ফলে ওই পুকুরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া রাস্তা ও ফসলি কৃষি জমি দেবে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জয়পুরহাট পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি ২ নং এলাকা পরিচালক মাহমুদুল হাসান চৌধুরী (রকেট) বলেন, বর্তমান মাছ চাষ লাভজনক হওয়ায় মানুষের মধ্যে আগ্রহ বেড়েছে পুকুর খননে। ফলে এবার পাল্লা দিয়ে ক্ষেতলাল উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে আবাদি ও পতিত জমি, বসতবাড়ির আশে পাশে পুকুর খনন অব্যাহত রয়েছে।

উপজেলার মিনিগাড়ী গ্রামের শহিদুল ইসলাম তার তিন বিঘা জমিতে নতুন পুকুর খনন করছে। এই পুকুর খনন বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাড়ীর পাশে জমি হওয়ায় ফসল ভালো হয় না। বর্তমান মাছ চাষ লাভজনক হওয়ায় পুকুর খনন করছি। মেসি মালিক ও স্কেভেটর ঠিকাদার জিল্লুর রহমান বলেন, বর্তমান এ উপজেলাতে প্রায় ১৫ থেকে ১৬ টি এস্কাভেটর (ভেকু) এবং প্রায় ৫০ থেকে ৬০ টি মেসি চলছে। সবাইকে ম্যানেজ করে আমরা এসব চালাচ্ছি।

অপর এস্কাভেটর ঠিকাদার ছাইদুর রহমান বলেন, আমার তিনটি এস্কাভেটর (ভেকু) চলছে, সে উপজেলার বেলতা বানদিঘী আঃ রাজ্জাকের পুকুরসহ আরো দুইটি পুকুর খনন কাজ করছে। রাত করে দু’চার দশ গাড়ী বালু না তুললে পোষায় না। তাই মাঝে মধ্যে একটু বালু তুলি। উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের নলপুকুর বেলতা বানদিঘী গ্রামের একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা হলে তারা বলেন. ছাইদুর নামের এক এস্কাভেটর ঠিকাদার আব্দুর রাজ্জাকের পুরাতন পুকুর খননের কাজ করছে। সে দিনের বেলায় পুকুরে মাটিকাটে, আর রাতভর ওই পুকুর থেকেই বালু উত্তোলন করে।

ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এফ এম আবু সুফিয়ান সাংবাদিকদের বলেন, আমার কাছে কয়েকটি পুকুর খনন বিষয়ে একাধিক অভিযোগ এসেছে। আমরা বেলতা বানদিঘী পুকুরে গিয়ে সরকারি যে অংশ বেদখল ছিল তা উদ্ধার করেছি। পুকুর খনন বা মাটি কাটা বিষয়ে কোন সুনিদিষ্ট নীতিমালা নেই। তবে ফসলি জমি কেউ নষ্ট ও ভূ-গর্ভস্থ্য খনন করে বালু উত্তোলন না করার বিষয়ে নির্দেশনা রয়েছে। পুকুর সংস্কারের নামে কেউ বালু উত্তোলন করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন