শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

পশ্চিমবঙ্গে আরও শক্তিশালী হলেন মমতা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ মার্চ, ২০২১, ৭:০২ পিএম

সোমবার পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের জোট ত্যাগ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতার দল তৃণমূলকে সমর্থন জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) ও সমাজবাদী পার্টি (এসপি)। ফলে, বিজেপি’র বিরুদ্ধে আরও শক্তিশালী হয়েছে তৃণমূল। বিহার ও উত্তরপ্রদেশে দল দুটি বিজেপি’র প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী, পশ্চিমবঙ্গেও তাদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভোট রয়েছে।

উভয়ের মূল লক্ষ্য বিজেপিকে প্রতিহত করা, দেশের সভ্যতাকে বাঁচানো। একুশে বঙ্গের ভোটের আগে সেই লড়াইয়ে ‘মমতাদিদি’কে পূর্ণ সমর্থনের বার্তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। এসপি’র অখিলেশ যাদবও ফোন দিয়ে মমতার সাথে কথা বলেছেন ও তার প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। সোমবার নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তেজস্বী বলেন, ‘বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে যেভাবে চান, তৃণমূলের পাশে থাকব। পূর্ণশক্তি দিয়ে সমর্থন করব। কারণ, আমাদের সকলের মূল লক্ষ্য, বিজেপিকে রুখে দেয়া। সভ্যতা বাঁচাতে বিজেপিকে হঠাতেই হবে। তৃণমূলের লড়াই মানে আমাদের লড়াই’। পাশাপাশি তৃণমূলের ধর্মনিরপেক্ষতাকেও তিনি আদর্শগতভাবে সমর্থন করেন বলেও জানিয়েছেন তেজস্বী যাদব।

অপরদিকে, তেজস্বীকে ধন্যবাদ জানিয়ে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন মমতাও। গতবার বিহারের নির্বাচনে তেজস্বীর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার কথা থাকলেও বিজেপি কৌশলে সেই সম্ভাবনা নষ্ট করেছে, সে বিষয়ে ফের অভিযোগ তুললেন তৃণমূল সুপ্রিমো। যদিও তৃণমূল-আরজেডির মধ্যে কোনও আসন সমঝোতা হল কি না, তা নিয়ে একটি শব্দও উচ্চারণ করলেন না মমতা কিংবা তেজস্বী। তৃণমূলের প্রতি আরজেডি-র এ সমর্থন প্রত্যাশিতই ছিল। রোববারই কলকাতায় পা রেখে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব বার্তা দিয়েছিলেন, ধর্মনিরপেক্ষতাকে সামনে রেখেই চলবে আরজেডি। তাতেই বোঝা গিয়েছিল, এবারের ভোটে তৃণমূলকে সমর্থন দিতে চলেছে লালুপ্রসাদের দল। পাশাপাশি এ গুঞ্জনও শোনা গিয়েছিল, হিন্দিভাষী এলাকার কয়েকটি কেন্দ্র আরজেডি-কে ছাড়তে পারে তৃণমূল। তবে এ নিয়ে উভয়ের বৈঠকে কোনও আলোচনা হয়েছে কি না, তা অজানাই।

তেজস্বীর বক্তব্য, ‘বাংলায় অনেক বিহারি থাকেন। আপনাদের সকলের কাছে আমার আহ্বান, সকলে মমতাদিদির পাশে থাকুন, তার হাত শক্ত করুন’। অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বিহারের গত নির্বাচনী ফলাফলের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘ভোটের ফলে তো তেজস্বীই মুখ্যমন্ত্রী হতেন, কিন্তু কৌশলে তাকে কীভাবে বঞ্চিত করা হয়েছে, তা আমরা সবাই জানি। পরবর্তী নির্বাচনে তেজস্বী জয়ী হোক, এ শুভেচ্ছা রইল।’

বিহারে আগের নির্বাচনে সিপিএম-সহ বামপন্থী দলগুলোর সঙ্গে জোট রয়েছে আরজেডির। আর বঙ্গে তৃণমূলকে সমর্থন করা মানে সিপিএমের বিরোধিতা। এ সমীকরণটা কেমন? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের উত্তরে তেজস্বী জানান যে, আরজেডি-র লড়াই মূলত বিজেপি বিরোধী। তাই বঙ্গে দলের যে কৌশলগত অবস্থান, বিহারে তার প্রভাব পড়বে না। রাতের দিকে তৃণমূল সাংসদ তথা যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও দেখা করেন তেজস্বী। দু’জনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ আলোচনাও হয়। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
amir ২ মার্চ, ২০২১, ৯:৫০ পিএম says : 0
Bangladeshi jamat islami and indian bjp are same
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন