বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সঞ্জিব ও আনিকা রিমান্ডে

ব্যাংকে চাকরি দেয়ার কথা বলে ধর্ষণ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ মার্চ, ২০২১, ১২:০০ এএম

ব্যাংকে চাকরি দেয়ার কথা বলে এক গার্মেন্টস কর্মীকে বাসায় ডেকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় সঞ্জিব কুমার দাস (৩৭) ও তার সহযোগী আনিকার ৫দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সঞ্জিব কুমার দাস মাদারীপুর জেলা বিআইডব্লিওটিএর চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদার প্রত্যেককে ৫দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সবুজবাগ থানার ওসি (অপারেশন) আজগর আলী আসামিদের আদালতে হাজির করেন। পরে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক প্রত্যেককে ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে সোমবার সবুজবাগ থানায় ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী নারীর বাড়ি ঝালকাঠিতে। তিনি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে ভাবির সঙ্গে থাকেন ও স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন। ৫বছর আগে স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ির পর থেকেই ভাবির সঙ্গে থাকেন। পাশাপাশি অন্য কোথাও ভাল কাজের সন্ধান করছিলেন। গত ১০ ফেব্রুয়ারি পূর্ব পরিচিত সঞ্জিব দাসের (৩৭) সঙ্গে দেখা হয় ভুক্তভোগী নারীর। কুশল বিনিময় ও কথাবার্তার এক পর্যায়ে সঞ্জিব ওই নারীকে ব্যাংকে ভালো চাকরি দেয়ার আশ্বাস দেন। ৫দিন পর ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টার দিকে সঞ্জিব তাকে ফোন করে জানান যে ব্যাংকে ভালো চাকরির সন্ধান আছে। এখনই তাকে মাদারটেক টেম্পো স্ট্যান্ডে আসতে হবে। ওই নারী সন্ধ্যা ৬টায় মাদারটেক টেম্পো স্ট্যান্ডে যান।

ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ করেন, অভিযুক্ত সঞ্জিব দাস সন্ধ্যা ৬টায় তাকে দক্ষিণ মাদারটেকের ১২৫/গ বাসার ৬ষ্ঠ তলায় নিয়ে যায়। ব্যাংক কর্মকর্তার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে একটি কক্ষে বসিয়ে রেখে সে বাহিরে যায়। ওই সময় পাশের রুমে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক নারীও ছিলেন। ওই নারীও নাকি ব্যাংকে চাকরি করেন। পরে রাত ৯টার দিকে তিন জন লোকসহ সঞ্জিব বাসায় ফেরে। তাদের ব্যাংকের লোক বলে পরিচয় করিয়ে দেয়। তাদের নাম- আজিজুর রহমান (৪১), জামাল (৩৫) ও মো. রাসেল/বিপ্লব (৪৫)। তারা চাকরির বিষয়ে তথ্য জানতে চান ও নানান প্রশ্ন করেন। কথা বলার একপর্যায়ে আজিজুরকে রেখে সঞ্জিব, জামাল ও রাসেল পাশের রুমে চলে যায়। রাত ১০টার দিকে আজিজুর ওই নারীকে ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এরপর আসামি সঞ্জিব, জামাল ও রাসেলও পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করে। আর আনিকা নামে ওই নারী এসব কাজে সহায়তা করে।

মামলায় আরো উল্লেখ্য করা হয় যে, পরে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ও মোবাইলে তুলে রাখা নগ্ন ছবি ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে সঞ্জিব নিজেই ওই নারীকে মাদারটেক টেম্পো স্ট্যান্ডে পৌঁছে দেয়। কেরানীগঞ্জে ফিরে ঘটনার বিস্তারিত ভুক্তভোগীর ভাবিকে জানালে পরদিন বিকেল সাড়ে ৩টায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনা শুনে তাকে হাসপাতালের ওসিসি বিভাগে ভর্তি করা হয়। পরে আসামিদের পূর্ণাঙ্গ নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে ওই নারী থানায় মামলা দায়ের করেন।

ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী ও সবুজবাগ থানার ওসি (অপারেশন) আসগর আলী জানান, আমরা প্রাথমিক তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে মূল অভিযুক্ত সঞ্জিব ও আনিকা নামে দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন