বিশেষ সংবাদদাতা : নতুন কোচ নিয়ে যাত্রা শুরু করল আন্তঃনগর ট্রেন পারাবত ও তিস্তা এক্সপ্রেস। গতকাল শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টায় কমলাপুর রেলস্টেশনে পারাবতের নতুন যাত্রার উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক। পরে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তিস্তার নতুন কোচের যাত্রার উদ্বোধন করেন তিনি।
ঢাকা-সিলেট রেলপথে পারাবত এক্সপ্রেসে ইন্দোনেশিয়ান ১৬টি এয়ারব্রেক কোচ যুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ২টি এসি স্লিপার, ২টি এসি চেয়ার, ১টি প্রথম শ্রেণি, ৮টি শোভন চেয়ার ও ২টি ডায়নিং কার। সব মিলিয়ে পারাবত এক্সপ্রেসের এখন আসন সংখ্যা এখন ৭১৯টি।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, ১৯৮৬ সালে ঢাকা-সিলেট রেলপথে পারাবতের যাত্রা শুরু হয়। এরপর ১৯৯৫-৯৬ সালে ইরানী কোচ দেয়া হয় এই ট্রেনে। ২০১১ সালের নভেম্বরে ইরানী কোচ খুলে নিয়ে ভ্যাকুয়াম কোচ লাগানো হয়। এরপর এসি কোচসহ আরও একটি কোচ খুলে ফেলায় পারাবতে যাত্রী সেবার মান একেবারে ছিল না বললেই চলে। এই ট্রেনে এসি কোচ যুক্ত করাসহ যাত্রীসেবার মান বাড়ানোর দাবিতে সিলেটবাসীরা মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে।
অন্যদিকে, ১৮টি নতুন কোচসহ গতকাল শুক্রবার থেকে যাত্রা শুরু করেছে তিস্তা এক্সপ্রেস। নবযাত্রায় তিস্তায় রয়েছে ৫টি এসি চেয়ার কোচ, ৯টি শোভন চেয়ার কোচে, ২টি এসি সিট কোচ, প্রথম শ্রেণির ১টি কোচ। এই সব কোচে রয়েছে মোট ৯১৪টি আসন। এছাড়া তিস্তা এক্সপ্রেসে রয়েছে একটি পাওয়ার কার ও দুই পাশে দুটি ডাইনিং কার। নতুন কোচ নিয়ে প্রথম যাত্রায় গতকাল অনেকেই তিস্তায় ভ্রমণ করেছেন। তেমনি একজন রেলফ্যান বিশ্বজিৎ ঘোষ জানান, দুপুরে জামালপুর টাউন স্টেশনে ট্রেনটি যখন প্রবেশ করে তখন কয়েকশ’ উৎসুক মানুষ ট্রেনটিকে স্বাগত জানায়। এর মধ্যে শতাধিক নারী লাল সবুজ শাড়ি পড়ে ফুল দিয়ে তিস্তার যাত্রীদের অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, তিস্তায় নতুন কোচ যুক্ত করায় পথিমধ্যে মানুষের মধ্যে যে আনন্দ-উচ্ছ্বাস দেখেছি তা মনে রাখার মতো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন