শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

সুইজারল্যান্ডে নিকাব নিষিদ্ধের পরিকল্পনার নিন্দা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ মার্চ, ২০২১, ৪:৩৭ পিএম

সুইজারল্যান্ডে মুখ ঢেকে রাখা বা নিকাব পরা নিষিদ্ধ করতে প্রস্তাব আনা হয়েছে। এটিকে আইনে পরিণত করতে আগামী ৭ মার্চ একটি গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। এর ফলে প্রকাশ্যে দেশটিতে নিকাব পরা নিষিদ্ধ হতে পারে। তবে দেশটির মুসলিমরা এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন।

প্রস্তাবিত আইনটিতে বলা হয়েছে, ‘কেউ প্রকাশ্যে তাদের মুখ ঢেকে রাখতে পারবে না’ এবং ‘কাউকে তাদের লিঙ্গের ভিত্তিতে মুখ ঢেকে রাখতে বাধ্য করার অনুমতি নেই’। তবে কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম থাকছে। যেমন- স্বাস্থ্যগত কারণ ও কার্নিভালের মতো প্রথার ক্ষেত্রে এই আইন শিথিল হতে পারে বলে প্রস্তাবিত আইনে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও, আইনটিতে মুসলিম নারীদের বোরকা পরিধানে নিষেধাজ্ঞার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়নি। তবে মুসলিমদের অভিযোগ, মূলত তাদেরকে টার্গেট করেই এই প্রস্তাব আনা হয়েছে।

এ বিষয়ে সুইজারল্যান্ডের ৩২ বছর বয়সী নারী ভ্যালেন্টিনা বলেন, ‘আমি এটা নিজের জন্যই পরিধান করে থাকি, বাইরের বিশ্বের কাছে কোনো প্রতীক হিসেবে নয়।’ তিনি বলেন, ‘আমি এটি পরিধান করে আরও ভাল ও নিরাপদ বোধ করি। এটি প্রার্থনারও একটি অংশ।’ তবে তিনি হয়তো বেশিদিন নিকাব পরতে পারবেন না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন জরিপ বলছে, সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটাররা এই আইনটিকে অনুমোদন করবেন। মুসলিম সংখ্যালঘুদের মধ্যে কেউ কেউ বিশ্বাস করেন এই পদক্ষেপ তাদেরকে সমাজ থেকে একাকী করে ফেলতে পারে। ডানপন্থী সুইস পিপলস পার্টির (এসভিপি) রাজনীতিবিদদের সমন্বয়ে গঠিত এগারকিনগার কমিটি মুখ ঢাকা নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তারা বলছেন, এটি সুইজারল্যান্ডে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ইসলামের ক্ষমতায়নের দাবির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। কমিটি যুক্তি দেখিয়েছে যে, ‘মুক্ত মানুষেরা তাদের মুখ দেখায়’ এবং ‘বোরকা ও নিকাব সাধারণ পোশাক নয়’, এটি নারীদের ওপর অত্যাচারের প্রতীক।

২০১৭ সালে এই কমিটি বিষয়টিকে একটি গণভোটে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় এক লাখ স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছিলেন, যার কারণে আগামী ৭ মার্চ দেশটিতে এ বিষয়ে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। সরকারী পরিসংখ্যান অনুসারে, সুইজারল্যান্ডে প্রায় ৩ লাখ ৮০ হাজার মুসলমান বসবাস করে, যা দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় ৫ শতাংশ, যাদের বেশিরভাগই বলকান অঞ্চলে বসবাস করে। মুখ ঢেকে রাখা নারীদের বিষয়ে সরকারি পরিসংখ্যান না থাকলেও টুঙ্গার-জ্যানেটি জানিয়েছেন, এই সংখ্যা খুবই কম। সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন