কূটনৈতিক সংবাদদাতা
হংকংয়ে অবৈধ অন্প্রুবেশ না করতে দেশটির অভিবাসন দফতর গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে। হয়রানি এড়াতে এক্ষেত্রে কোনো সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রলুব্ধ না হতেও অনুরোধ জানানো হয়েছে। দেশটির অভিবাসন দফতরের সহাকারী পরিচালক রোনাল্ড এন ডব্লিউ ফাং বলেছেন, অভিবাসনের ক্ষেত্রে কোনো প্রতিনিধিকে (এজেন্ট) বিশ্বাস করবেন না। কারণ, হংকং সরকার কোনো রাজনৈতিক আশ্রয় দেয় না, কাউকে শরণার্থী হিসেবেও গ্রহণ করে না। শুক্রবার ঢাকায় চীনা দূতাবাসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফাং এসব কথা বলেন। জ্যেষ্ঠ অভিবাসন কর্মকর্তা ল্যাম কিং-ফুং, ল্যাম কি-ওয়াহ এবং জনসংযোগ কর্মকর্তা অংগুস ডব্লিউ এইচ লি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, তারা বাংলাদেশের মানুষকে বিষয়টিতে সচেতন করতেই এসব কথা বলছেন। ফাং জানান, হংকংয়ের অভিবাসন দফতর ও পুলিশ ২০১৫ সালে ৪১৪ জন অবৈধ অভিবাসী বাংলাদেশিকে আটক করে রেখেছে। যা ২০১৪ সালের তুলনায় ২১ শতাংশ বেশি।
তিনি বলেন, পর্যটকদের হংকংয়ে চাকরি করার অনুমতি নেই। সেটা বৈতনিক কিংবা অবৈতনিক যাই হোক না কেন অভিবাসন দফতরের অনুমতি ছাড়া চাকুরি করতে পারবে না কেউ।
তিনি বলেন, অপরাধীদের বিচার হবে এবং দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার ডলার জরিমানা হবে এবং একইসঙ্গে দুই বছর জেল হবে। যারা হংকংয়ে অনুপ্রবেশ করবে তাদের বৈধ বসবাসের অনুমতিও দেয়া হবে না বলে ফাং জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রতি অনুরোধ, অভিবাসনের ক্ষেত্রে অননুমোদিত কোনো এজেন্টের ফাঁদে পা দেবেন না। হংকং ইমিগ্রেশন অর্ডিন্যান্সের ৩৮এএ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, অবৈধ অভিবাসী এবং নাগরিকদের (হংকং) মধ্যে যাদের হংকং ত্যাগ করতে বলা হয়েছে কিংবা যারা নির্বাসিত তারা বৈতনিক কিংবা অবৈতনিক হোক কোনো চাকরি গ্রহণ করতে পারবেন না। এমনকি তারা কোনো ব্যবসা শুরুও করতে পারবেন না।
ফাং বলেন, এ ধরণের অপরাধে যারা ইতিমধ্যে ১৫ মাস ধরে জেলে রয়েছেন তাদের জন্য আপিল বিভাগ একটি নির্দেশনা দিয়েছে।
জ্যেষ্ঠ অভিবাসন কর্মকর্তা ল্যাম কিং-ফুং, ল্যাম কি-ওয়াহ বলেন, চীন বাংলাদেশের কতিপয় সিন্ডিকেটের মধ্যে একধরনের যোগাযোগ রয়েছে। যারা মানুষকে রাজনৈতিক আশ্রয়, শরণার্থী কিংবা চাকরির সুযোগের কথা বলে হংকং পাঠায়। তাদের অধিকাংশই চীন হয়ে হংকংয়ে প্রবেশ করে এবং এদের হংকংয়ের কোনো ভিসা থাকে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন