শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বিএনপির নেতিবাচক রাজনীতি না থাকলে দেশ এগিয়ে যেত

জাতীয় প্রেসক্লাবে তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ মার্চ, ২০২১, ১২:০০ এএম

দেশ অনেক এগিয়ে গেছে এবং বিএনপির দলাদলি-নেতিবাচক রাজনীতি না থাকলে দেশ আরো অনেক দূর এগিয়ে যেতো বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন হলে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে সংগঠনের প্রয়াত সহ-সভাপতি বরেণ্য চলচ্চিত্র অভিনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা এটিএম শামসুজ্জামানের মৃত্যুতে স্মরণ সভায় সমসাময়িক প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাম্প্রতিক বক্তব্যের ধরে তিনি একথা বলেন। এতে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বক্তব্য রাখেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, কাগজে দেখলাম মির্জা ফখরুল সাহেব সম্প্রতি বলেছেন, ৫০ বছরে আমরা শুধু দলাদলি করেছি, দেশ আগায়নি। আমি তাকে বলব, ‘আপনি ঢাকা কলেজে পড়াতেন, আপনি একজন শিক্ষিত মানুষ, যদিও বা অহরহ বিএনপির পক্ষে কথা বলতে গিয়ে প্রচন্ড অসত্য কথা বলতে হয়; কিন্তু আপনি একজন মার্জিত মানুষও বটে। আজকে যে দেশ এতদূর এগিয়ে গেছে, ভারত-পাকিস্তানসহ সারাবিশ্ব সেটি অনুধারণ করেছে আর আপনি সেটি অনুধাবন করতে পারলেন না! জাতিসংঘ সার্টিফিকেট দিয়েছে যে দেশ স্বল্পোন্নত থেকে মধ্যম আয়ের দেশ হয়েছে, খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্যে উদ্ধৃতের দেশ হয়েছে, ২০০৮ সালের ৬০০ ডলার মাথাপিছু আয় এখন ২০৬৯ ডলারে উন্নীত, যা ভারত এবং পাকিস্তানের মাথাপিছু আয় থেকে অনেক বেশি এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৪ বিলিয়ন ডলার যা পাকিস্তানের তিনগুণ, এই তথ্যগুলো আপনাদের কাছে নেই দেখে আমি খুব অবাক হচ্ছি। ‘আসলে বিষয়টা হচ্ছে, বিএনপি যদি দলাদলি আর নেতিবাচক রাজনীতি না করত, বাংলাদেশ যে আজকে অনেক দূর এগিয়ে গেছে, তার চেয়েও অনেক বেশি দূর এগিয়ে যেতে পারত।

ড. হাছান বলেন, এই নেতিবাচক রাজনীতি যদি না থাকত, জঙ্গিদের আশ্রয় দেয়া, স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রশ্রয় দেয়া, তাদের সাথে বসে রাজনীতি করা না হতো, তাহলে দেশ আরো বহুদূর এগিয়ে দেতে পারত। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের সেই কথাটি বলা উচিত ছিল। হ্যাঁ আপনারা শুধু দলাদলি করেছেন তা নয়, আপনারা সবসময় প্রচন্ডভাবে নেতিবাচক রাজনীতি করেছেন। এই নেতিবাচক রাজনীতি আমাদের উন্নয়ন অগ্রগতির ক্ষেত্রে চরম অন্তরায়।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, কারাগারে কোনো মৃত্যু অবশ্যই অনভিপ্রেত, অনাকাক্সিক্ষত, মুশতাক আহমেদের মৃত্যুটাও অনভিপ্রেত এবং আমি নিজেও ব্যথিত। কিন্তু এটি নিয়ে যেভাবে মাঠ গরম করার অপচেষ্টা হচ্ছে, সেটি আরো অনভিপ্রেত। এ ঘটনা নিয়ে যেভাবে নানা কথা বলা হচ্ছে, পানি ঘোলা করার এ ধরনের চেষ্টায় কোনো লাভ হবে না। ড. হাছান বলেন, এ নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি হয়েছে, কমিটির রিপোর্টে বেরিয়ে আসবে তার মৃত্যু কি স্বাভাবিক ছিল? না কি কারা কর্তৃপক্ষের কোনো অবহেলা ছিল বা অন্য কোনো কারণ ছিল কি-না। সেগুলো বেরিয়ে এলে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বদ্ধপরিকর।
কিন্তু এ নিয়ে যেভাবে কেউ কেউ ওই আইন বাতিল করতে হবে বলছেন, তা অমূলক কারণ আইন সবার জন্য বলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট সমগ্র মানুষের নিরাপত্তার জন্য। সাংবাদিক, গৃহিণী, কৃষক, চাকরিজীবীসহ সকলকে ডিজিটাল নিরাপত্তা দেয়ার জন্য। যে কারো চরিত্রহরণ করা হলে তাকে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য এ আইন। অবশ্যই এ আইনের অপপ্রয়োগ যেন না হয়, সেজন্য আমরা সতর্ক আছি এবং অপব্যবহার হওয়া কাম্য নয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন