শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

কুয়েতি আদালতে ৫ অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেলেন পাপুল

আপিলের শুনানি ৮ মার্চ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ মার্চ, ২০২১, ১:৪২ পিএম

কুয়েতে সাজাপ্রাপ্ত আলোচিত এমপি শহিদ ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলোর মধ্যে ৫টি অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন তিনি। অন্য একটি মামলায় দন্ড হওয়া ওই রায়ের বিরুদ্ধে নির্দোষ দাবি করে পাপুলের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাসের নাফে আল হাসবান গত ২৩ ফেব্রুয়ারি আপিল দায়ের করেন, যার শুনানির দিন আগামী ৮ মার্চ ধার্য করা হয়েছে। মামলা নং ২০০০১৪২৯ ০১ ০৫। পাপুলের বিরুদ্ধে দেয়া কুয়েতি আদালতের ৬১ পৃষ্ঠার রায় পর্যালোচনা করে এ তথ্য গেছে। অন্যদিকে রায়ের ৮ নম্বর পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, মামলাটি অধিকতর পর্যবেক্ষণের জন্যে উপযুক্ত আদলতে (উচ্চ আদালতে) রেফার করা হলো।

কুয়েতি আদালতে ৫টি অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাওয়া প্রসঙ্গে পাপুলের বাংলাদেশী আইনজীবী এ বি সিদ্দিক জানান, মানব পাচার, ভিক্টিমদের রেসিডেন্সি সিস্টেম লংঘন করা, প্রবাসীদের সাথে জালিয়াতি ও ধোকা, শ্রমিকদের চাকুরির বিষয়ে খোলাসা না করা ও প্রতারণা করা, শ্রমিকদের মারধর করা ও আটকে রাখা- এই ৫টি অভিযোগ থেকে শহিদ ইসলাম পাপুল অব্যাহতি পেয়েছেন। নথি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, মানি লন্ডারিং- এর কোন অভিযোগ তার বিরুদ্ধে আনা হয়নি। তিনি বলেন, শুধুমাত্র ঘুষ প্রদানের অভিযোগ আনা হয়েছে। ওই মামলায় সাজার বিরুদ্ধে কুয়েতের আইনজীবী উচ্চ আদালতে আপিল করেছেন। আগামী ৮ মার্চ শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
বাংলাদেশি গণমাধ্যমে সাবেক এমপি পাপুলের মানব পাচার ও মানি লন্ডারিং এর অভিযোগে সাজা হয়েছে বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়। নথি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, মুলতঃ সাজা হয়েছে ঘুষ প্রদানের অভিযোগে। মানব পাচার অভিযোগ থেকে তাকে দেয়া অব্যাহতি দেয়া হয়। তবে তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের কোন অভিযোগ আনা হয়নি। যদিও এসব আমলে নিয়ে পাপুলের আসন শূন্য ঘোষণা করে ইতোমধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। নির্বাচন কমিশন শূন্য আসনের উপনির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিেেচ্ছ এবং খুব শিগগিরই তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে।

পাপুলের সাজার চূড়ান্ত রায় না হলে তার বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেয়া যাবে কিনা এ প্রসঙ্গে সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরশেদ সাংবাদিকদের বলেন, যে কোন সাজা চূড়ান্ত হয় আপিলের পরে। এইক্ষেত্রে সাজা এবং জরিমানা হয়েছে। যদি জরিমানা স্থগিত হয় আপিলে সেক্ষেত্রে কিন্তু অযোগ্য হবেন। শুধু জরিমানা স্থগিত হলে হবে না সাজাও স্থগিত হতে হবে। আর সাজা যদি স্থগিত হয় তাহলে তাকে আর সাজাপ্রাপ্ত বলা যাবে না। আপিলটা চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত তাকে চূড়ান্তভাবে সাজাপ্রাপ্ত বলা যাবে না। ওই জায়গায় সাজাটা যদি স্থগিত হয়ে যায় তাহলে সংসদ সদস্য পদের অযোগ্যতা আর বিবেচনা হবে না। সেক্ষেত্রে আপিল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন