শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

উলিপুর বীর মুক্তিযোদ্ধার বিধবা স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ

উলিপুর (কুড়িগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৪ মার্চ, ২০২১, ৫:২০ পিএম

কুড়িগ্রামের উলিপুরে এক বীর মুক্তিযোদ্ধার বিধবা স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে সন্তানের বিরুদ্ধে। অসহায় ওই বৃদ্ধা ১মাস ধরে নিজ ভিটে-মাটি ছেড়ে মেয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নে। বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ ও ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের ঘোলদারপাড় গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা গোলজার হোসেন প্রায় ২ বছর পূর্বে মৃত্যুবরণ করেন। এরপর থেকে মুক্তিযোদ্ধার সম্মানি ভাতার টাকা দিয়ে সংসার চালিয়ে আসছে বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী রাবেয়া বেওয়া। কয়েকমাস থেকে পুত্র আতাউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা সম্মানি ভাতার সমুদয় টাকা মায়ের কাছে দাবী করে আসছেন।

কিন্তু রাবেয়া বেওয়া সম্মানি ভাতার টাকা সংসার চালানোসহ তার চার সন্তানকে বন্টন করে দিতেন। এতে আপত্তি তুলে পুত্র আতাউর রহমান ও পুত্রবধু লিপি বেগম তাকে প্রায় সময় মানষিকভাবে নির্যাতন করত। এ ঘটনার জের ধরে গত ৩০ জানুয়ারী ওই পুত্র ও পুত্রবধু মিলে রাবেয়া বেওয়াকে এক কাপড়ে বসত ঘর থেকে টেনে হিছড়ে বেড় করে ঘরের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেন। এরপর থেকে তিনি বিভিন্ন আত্বিয়ের বাড়িতে থেকে বর্তমানে মেয়ে গোলাপী বেগমের বাড়ি গুনাইগাছ ইউনিয়নের কৃষ্ণমোহনে আশ্রয় নিয়েছেন।

রাবেয়া বেওয়া বলেন, ছেলে আতাউর রহমানকে সম্মানি ভাতার সমুদয় টাকা না দেয়ায় আমাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। আমি বাড়িতে ফিরে গেলে আমাকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিয়েছে। এক মাস অপেক্ষা করার পরও এব্যাপারে কোথাও প্রতিকার না পেয়ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেছি। তিনি আরও বলেন, আমার স্বামীর ভিটায় জীবনের শেষ দিনগুলো পাড় করতে চাই এবং ছেলে ও ছেলে বউয়ের এই নির্মমতার বিচার চাই।
এ বিষয়ে আতাউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমাকে বঞ্চিত করে জমি জমা টাকা পয়সা অন্য তিন সন্তানকে দেন। আমি এর প্রতিবাদ করায় তিনি বাড়ি থেকে চলে গেছেন। মায়ের ঘরে তালা ঝুলানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি বাড়িতে নেই, ঘরে জিনিসপত্র রয়েছে, তাই তালা লাগিয়ে দিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমি অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে জানান, বিষয়টি পারিবারিক ব্যাপার তাই সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে দ্রæতই সমাধান করে দেয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Jack+Ali ৪ মার্চ, ২০২১, ৫:৪১ পিএম says : 0
This is the product of Democracy. If our country rule by Qur'an then then all the criminal will flee from our Beloved Mother Land.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন