বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

১৯ প্রস্তাব ই-ক্যাবের

প্রাক-বাজেট আলোচনা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ মার্চ, ২০২১, ১২:০৪ এএম

যেসব ই-কমার্স কোম্পানি দেশি পণ্য বিক্রি করে তাদের ক্যাশ ইনসেনটিভ দেয়াসহ ১৬ প্রস্তাব দিয়েছে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)। গতকাল জাতীয় রাজস্ব ভবনের সম্মেলন কক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় এ প্রস্তাব উপস্থাপন করেন ই-ক্যাবের প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে— ই-কমার্সকে আইটিইএস এর অন্তর্ভুক্ত করা, আয়কর আইনের ১৯৮৪ এর ধারা অনুযায়ী ই-কমার্সকে সংজ্ঞায়িত করা, ই-সিগেরেট নিষিদ্ধ করা, পণ্য ডেলিভারি চার্জে ভ্যাট প্রত্যাহার, ই ও এফ কমার্স অফিসের ভাড়ার ভ্যাট প্রত্যাহার করা, বুদ্ধিভিত্তিক পণ্যের ক্ষেত্রে ভ্যাট-ট্যাক্স অব্যাহতি, বছরে ৫০ লাখ টাকার কম বিক্রি হলে ভ্যাট অব্যাহতি, ই-কমার্সে ৫ শতাংশ ভ্যাট নির্ধারণের পরিবর্তে নির্দিষ্ট পরিমাণ ভ্যাট প্রদানের সুবিধা ইত্যাদি। শমী কায়সার বলেন, কোভিডের সময় ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রি নতুন করে ফোকাসে এসেছে। এ সময় প্রায় ৭০-৮০ শতাংশ নতুন কোম্পানি হয়েছে। ৩০০ এর অধিক নতুন ডেলিভারি কোম্পানি তৈরি হয়েছে। ই-ক্যাবের প্রায় দেড় হাজার মেম্বার। আমরা সরকারকে রাজস্ব দিতে চাই।

রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, ই-কমার্সে দোকানভাড়া লাগে না। কর্মচারীর বেতন খরচও দিতে হয় না। এতে তাদের কষ্ট কম হওয়ার কথা। খরচ কম হওয়ায় সহজে ও কমদামে পণ্য পাওয়া যাবে। ই-কমার্সের প্রভাবে এক সময় ফিজিক্যাল দোকানপাট বন্ধ হয়ে যাবে। ই-কমার্সের পরিধি বাড়ছে। কিন্তু আপনারা বলছেন লস করছে। ই-কমার্স বিজনেসকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই বিজনেসের সঙ্গে যারা আছেন, তাদের ট্র্যাক করার যাচ্ছে না। একেক জন ফেসবুক দিয়ে, সাইট খুলে এটা করছে। তাদের ভ্যাটের আওতায় আনা যাচ্ছে না। ৯০ শতাংশই আপনাদের সংগঠনের সদস্য নয়। ডিসিপ্লিনের মধ্যে আসতে পারছেন না বলেই অনেক কিছু আপনাদের দিতে পারছি না। আপনারা আইসিটি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বসেন। সব ই-কমার্সকে একটা প্লাটুফর্মে আনার ব্যবস্থা করেন। পণ্য বিক্রিতে ডিজিটাল পেমেন্টকে বাধ্যতামূলক করেন। চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, শুধু আমরা না অনেক দেশই ই-কমার্স থেকে পুরোপুরিভাবে ভ্যাট-ট্যাক্স সংগ্রহ করতে পারছে না। সবার কাছে থেকে ভ্যাট-ট্যাক্স সংগ্রহ করা বড় একটা চ্যালেঞ্জ রাজস্ব বোর্ডের কাছে। সেক্ষেত্রে সবাইকে প্লাটফর্মের মধ্যে আনতেই হবে, এর কোনো বিকল্প নেই। এ লক্ষ্যে আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছি। ভ্যাট নিবন্ধিত ই-ক্যাব মেম্বারদের প্রণোদনা দেয়ার আহবান জানান তারা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন