শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

খুলবে সম্ভাবনার নতুন দ্বার

দোহাজারী-কক্সবাজার-ঘুমদুম রেললাইন : সম্পন্ন ৫১ ভাগ কাজ বর্ষায় ব্যয় বাড়ার শঙ্কা

শামসুল হক শারেক, কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৫ মার্চ, ২০২১, ১২:০৪ এএম

আসছে বছর দোহাজারী-কক্সবাজার-ঘুমদুম রেললাইন চালু করার টার্গেট নিয়ে এগিয়ে চলছে এই মেগা প্রকল্পের কাজ। এ পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ ৫১ ভাগ শেষ হয়েছে বলে জানা গেছে। এখন চলছে রেলট্রেক বসানোর কাজ। আগামী বছরের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলেই অবসান হবে কক্সবাজারবাসীর প্রতীক্ষা। খুলে যাবে সম্ভাবনার নতুন দ্বার।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আগামী বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই রেলট্রেক বসানোর কাজ শেষ করবেন তারা। স¤প্রতি রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন কক্সবাজার সফরকালে কক্সবাজার থেকে ট্রেনে ঢাকা যাওয়া সম্ভাব্যতার কথা জানান। গত বৃহস্পতিবার কক্সবাজার সদরের রামু উপজেলার পানির ছড়া বাজার এলাকা থেকে রেলট্রেক বসানোর কাজ শুরু হয়। যেখানে মাটির কাজ শেষ, সেখানে এই রেলট্রেক বসানো হচ্ছে।
কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্প পরিচালক মো. মফিজুর রহমান ইনকিলাবকে বলেন, সামনে বর্ষাকাল। এসময়ে কাজ করা যায় না। তাই বর্ষা আসার আগেই রেলট্রেক বসানোর কাজ শেষ করতে চাই। কক্সবাজারের রামুর পানির ছড়া থেকে এই কাজ চট্টগ্রামের দিকে চলে যাবে।

সূত্র জানায়, সরকারের মেগা এই প্রকল্পের কাজ ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এ পর্যন্ত প্রকল্পের সার্বিক কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৫১ শতাংশ। রেললাইন তৈরির জন্য মাটি ভরাট কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৭০ শতাংশ। প্রকল্পের ৯টি স্টেশন বিল্ডিংয়ের মধ্যে ৫টির নির্মাণকাজ হয়েছে ২০ শতাংশ। ৩৯টি ব্রিজের মধ্যে ৩০টির কাজ শেষ হয়েছে ৮০ শতাংশ। কক্সবাজারের নির্মাণাধীন সর্বাধুনিক স্টেশন আইকনিক বিল্ডিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে ২০ শতাংশ। বনাঞ্চলের ভেতরে হাতি চলাচলের জন্য ২টি আন্ডারপাসের কাজ শেষ হয়েছে। ওভারপাস তৈরির কাজও চলছে দ্রæততার সঙ্গে।

এই রেললাইনটি দ্রæত নির্মাণের মাধ্যমে যাতায়াত শুরু হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজারসহ সারা দেশের সঙ্গে অর্থনীতি, পর্যটনখাতে বিপুল রাজস্ব আয় হবে। পাশাপাশি যোগাযোগের ক্ষেত্রেও খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি কক্সবাজার অঞ্চলের মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নও ঘটবে। দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ হাজার ৩৫ কোটি টাকা। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে পর্যটক ও স্থানীয় জনগণের জন্য নিরাপদ, আরামদায়ক, সাশ্রয়ী যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রবর্তন হবে।

প্রকল্পের ১২৮ কিলোমিটার রেলপথে স্টেশন থাকছে ৯টি। এগুলো হলো- সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলাহাজারা, ঈদগাও, রামু, কক্সবাজার সদর, উখিয়া ও ঘুমধুম। এতে থাকবে কম্পিউটার বেইজড ইন্টারলক সিগন্যাল সিস্টেম এবং ডিজিটাল টেলিকমিউনিকেশন সিস্টেম। সাঙ্গু, মাতামুহুরী ও বাঁকখালী নদীর ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে তিনটি বড় সেতু। ১২৮ কিলোমিটার রেল পথের ৫১ ভাগ কাজ শেষ হলেও বাকি অংশে বর্ষায় ভোগান্তি ও ব্যয় বাড়ার আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (4)
মমতাজ আহমেদ ৫ মার্চ, ২০২১, ২:৪২ এএম says : 0
কোন প্রকল্পে ব্যয় বাড়ানো উচিত নয়
Total Reply(0)
সোলায়মান ৫ মার্চ, ২০২১, ২:৪৩ এএম says : 0
ব্যয় ও সময় বাড়ানো এখন একটা বদ অভ্যাসে পরিণত হয়েছে
Total Reply(0)
আবদুর রহমান ৫ মার্চ, ২০২১, ২:৪৪ এএম says : 0
বর্ষা আসার আগেই রেলট্রেক বসানোর কাজ শেষ করতে হবে।
Total Reply(0)
জামিল উদ্দীন ৬ মার্চ, ২০২১, ৫:১৩ পিএম says : 0
বর্ষা আশার আগে কাজ শেষ করলে সব চাইতে ভাল হবে।তাতে টাকাও স্বাস্রয় হবে,কষ্ঠও কম হবে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন