বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

নদী তীরে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ

মো. শহিদুল ইসলাম, ফুলবাড়িয়া (ময়মনসিংহ) থেকে | প্রকাশের সময় : ৭ মার্চ, ২০২১, ১২:০১ এএম

ফুলবাড়িয়ার ভবানীপুর ইউনিয়নে নদীর তীর দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করে প্রভাবশালী মহল। ফুলবাড়িয়া এবং ভালুকা উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া এ নদীটির নাম খিরু নদী। ভ‚মিদস্যুদের থাবায় নদীর দুই পার বেদখল হতে হতে নদী এখন মৃত প্রায়। তাই এতদিনে নদীর নামও পাল্টে গেছে। সবাই একে মরা নদী হিসেবেই একনামে চেনে। ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া এই মরা নদীর ওপর ইমারত নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় জয়পুর নতুন বাজারের প্রভাবশালী হারুন গংয়ের বিরুদ্ধে। এ ছাড়াও ইমারতটির ঠিক পাশেই নদীর পাড় ঘেঁষে কয়েক একর জায়গা ঢাকার একটি কোম্পানি তাদের প্রজেক্ট নির্মাণের জন্য নির্ধারণ করলে সেই জায়গার সীমানা পিলার বসিয়েছে নদীর পাড় থেকে ঠিক নদীর মাঝ বরাবর।
জয়পুর নতুন বাজারের স্থানীয় বাসিন্দা হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘ভবানীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে সীমানা পিলার এবং নদীর ওপর স্থাপনা নির্মাণ করে স্থানীয় প্রভাবশালী হারুন গং এবং প্রজেক্টের মাহবুব গং।
মরা নদীর ওপর জয়পুর নতুন বাজার সংলগ্ন স্থাপনা নির্মাণ বিষয়ে হারুন মিয়া বলেন, ‘নদীর ওপর স্থাপনা নির্মাণ অবৈধ জেনেও আমি স্থাপনা নির্মাণ করেছি। কারণ আমার স্থাপনের চেয়েও বেশি জায়গা দখলে নিয়েছে প্রজেক্টের মাহবুব গং। ‘মাহবুব গং-এর জায়গা-জমি দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মোট ৪ একর ৬৬ শতাংশ জমি রেজিস্ট্রি হয় জনৈক মাহবুবের নামে। নদীর যেখানে পিলার বসানো হয়েছে, সেখান থেকেও ২০ ফুট বেশি জায়গা আমাদের রয়েছে। তবে সরকারের জায়গা হলে জমির মালিক ছেড়ে দেবে বলে জানিয়েছেন জাহাঙ্গীর। তবে নদীর জায়গা দখল ও স্থাপনা নির্মাণ বিষয়ে ভবানীপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহিনুর মল্লিক জীবন বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। ইতোমধ্যে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে, সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করে কাজ করার কথা বলা হয়েছে।’ উপজেলার বাজুয়া নদীর দুই ধারে শতাধিক পোলট্রি খামার ও কারখানা। অনিয়মতান্ত্রিকভাবে খামারের বিষ্ঠা সরাসরি নদীতে ফেলছে খামারিরা। এতে বিষাক্ত হয়ে পড়ছে নদীর পানি। মরছে দেশিয় প্রজাতির মাছ। এসব দেখেও যেন দেখার কেউ নেই?
ফুলবাড়িয়া উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভ‚মি) দিলরুবা ইসলাম বলেন, নদী দখলকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন